Skip to content
Home » MT Articles » Haemoglobin (Hb) Electrophoresis ; All you need to know.

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis ; All you need to know.

Haemoglobin (HB) Electrophoresis

আনুষ্ঠানিক নাম: 

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis,

অন্যান্য নাম:

Haemoglobin Evaluation, Isoelectric Focusing of Hb, HPLC of Hb, Hb ELP, Hb IEF, Sickle Cell Screen.

কেন Hb Electrophoresis টি করা হয়?

হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি তদন্ত করা; হিমোগ্লোবিন ডিসঅর্ডারের স্ক্রিনিং করার জন্য।

কখন Hb Electrophoresis করা হয়?

সম্পূর্ণ ব্লাড কাউন্ট (CBC) এবং/অথবা ব্লাড ফিল্মে অস্বাভাবিক ফলাফলের ফলো আপ হিসাবে এটি করা হয়। যখন কারো হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়ার লক্ষণ থাকে যেমন দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব এবং যখন ডাক্তার সন্দেহ করেন যে আপনার হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে (হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি) তখন Hb Electrophoresis করা হয়। যখন কারো হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির পারিবারিক ইতিহাস থাকে তখন গর্ভধারণের পূর্বে এবং নবজাতকের স্ক্রীনিংয়ের অংশ হিসাবেও এই পরীক্ষাটি করা জরুরী।

Hb Electrophoresis এর জন্য কি ধরণের নমুনা (Sample) নেওয়া হয়?

শিরা থেকে নেওয়া রক্তের একটি নমুনা (Venous blood).

এই পরীক্ষাটির জন্য রোগীর কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে কি?

কোনো ধরনের পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। যেকোনো সময় একটি রক্তের নমুনা দিয়েই পরীক্ষাটি করা যায়।

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis এ মূলত কি পরীক্ষা করা হয়?

হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি একটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত রক্তের ব্যাধি যেখানে একজন ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের একটি অস্বাভাবিক রূপ থাকে যার কারণে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায় (যেমন থ্যালাসেমিয়া)। Hb Electrophoresis হল পরীক্ষার একটি গ্রুপ যা হিমোগ্লোবিন ডিসঅর্ডার নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিক রূপগুলিকে সনাক্ত করে।

হিমোগ্লোবিন (Hb) হল লৌহ-ধারণকারী প্রোটিন যা সমস্ত লাল রক্ত ​​কোষে (RBCs) পাওয়া যায়।হিমোগ্লোবিন (Hb) ফুসফুসে অক্সিজেনের সাথে আবদ্ধ হয় এবং RBC গুলিকে সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে।

হিমোগ্লোবিন দুটি  অংশ নিয়ে গঠিত। একটিকে বলা হয় হিম(Heame), লৌহ যুক্ত এই অণুটি কেন্দ্রে অবস্থান করে। এবং আরেকটি অংশ চারটি গ্লোবিন (প্রোটিন) চেইন দ্বারা গঠিত। গঠনের উপর নির্ভর করে  গ্লোবিন চেইনের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে : আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা। হিমোগ্লোবিনের কার্যকারিতা এবং অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতার ক্ষেত্রে এই বিভিন্ন ধরনের গ্লোবিন চেইনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Haemoglobin (Hb) structure

স্বাভাবিক (Normal) হিমোগ্লোবিনের প্রকারগুলির মধ্যে রয়েছে:

হিমোগ্লোবিন A1: প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া Hb এর প্রায় 95%-98%। এটিতে দুটি আলফা এবং দুটি বিটা প্রোটিন চেইন রয়েছে।

হিমোগ্লোবিন A2: প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া Hb এর প্রায় 2%-3%। এটিতে দুটি আলফা এবং দুটি ডেল্টা প্রোটিন চেইন রয়েছে।

হিমোগ্লোবিন F (Fetal Haemoglobin-ভ্রূণের হিমোগ্লোবিন): প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে 1%-2% পর্যন্ত Hb-F পাওয়া যায়। এটিতে দুটি আলফা এবং দুটি গামা প্রোটিন চেইন রয়েছে। এটি গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ দ্বারা উত্পাদিত প্রাথমিক হিমোগ্লোবিন। এর উৎপাদন সাধারণত জন্মের পরপরই কমে যায় এবং 1-2 বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়ে পৌঁছায়।

Haemoglobin (Hb) structure

হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি ঘটে যখন একটি জিনের পরিবর্তন (মিউটেশন) ঘটে, যে জিনটি গ্লোবিন চেইনের জন্য কোডিং করা। ফলে গ্লোবিন চেইনের প্রোটিনের পরিবর্তন ঘটে। এই জিনগত পরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিক গ্লোবিন চেইনেগুলির যেকোনো  একটির উৎপাদন কমে যেতে পারে বা কাঠামোগতভাবে পরিবর্তিত একটি গ্লোবিন চেইনের উৎপাদন হতে পারে। জেনেটিক মিউটেশন হিমোগ্লোবিনের গঠন, আচরণ, উৎপাদন হার এবং/অথবা এর স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করতে পারে। RBC-এর মধ্যে অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি লোহিত রক্তকণিকার চেহারা (আকার এবং আকৃতি) এবং কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারে।

আরোও পড়ুন

HbA1c Test // যা কিছু জানা প্রয়োজন।

অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন (হিমোগ্লোবিন ভেরিয়েন্ট) ধারণকারী লোহিত রক্ত ​​কোষগুলি দক্ষতার সাথে অক্সিজেন বহন করতে পারে না এবং স্বাভাবিকের চেয়ে তাড়াতাড়ি শরীর দ্বারা ভেঙে যেতে পারে (একটি সংক্ষিপ্ত জীবনকাল), যার ফলে হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া হয়। 

অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের কিছু রূপের মধ্যে রয়েছে: 

হিমোগ্লোবিন-S: এটি সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রাথমিক হিমোগ্লোবিন।হিমোগ্লোবিন-S RBC কে ক্রিসেন্ট আকারে পরিণত করে (সিকেল), ও কোষের বেঁচে থাকার সময়কে হ্রাস করে।

হিমোগ্লোবিন-C: এটি অল্প পরিমাণে হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

হিমোগ্লোবিন-E: এতে তেমন কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে না।

থ্যালাসেমিয়া: 

থ্যালাসেমিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি জিন মুছে যায় বা জটিল মিউটেশন ঘটে। ফলে যেকোনো একটি গ্লোবিন চেইনের উৎপাদন কমে যায়। এতে আলফা ও বিটা চেইনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।যার ফলে অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে যা আলফা থ্যালাসেমিয়া হিসেবে পরিচিত।অথবা ছোট হিমোগ্লোবিনগুলোর উপাদানের বৃদ্ধি ঘটায় (যেমন Hb A2 বা Hb F) যা বিটা থ্যালাসেমিয়া হিসেবে পরিচিত।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে Hb Electrophoresis এর ব্যবহার: 

Hb Electrophoresis অস্বাভাবিক ফর্ম এবং/অথবা আপেক্ষিক পরিমাণ হিমোগ্লোবিন সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। 

পরীক্ষাটি যেসব কারনে ব্যবহৃত হতে পারে: 

স্ক্রীনিং: 

কিছু নির্দিষ্ট হিমোগ্লোবিন রূপের জন্য নবজাতকের পরীক্ষাটি করা হয়।

প্রসবপূর্ব স্ক্রীনিং প্রায়শই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পিতামাতাদের উপর সঞ্চালিত হয় যাদের জাতিগত পটভূমি হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতার উচ্চ প্রবণতার সাথে যুক্ত। এবং যারা হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে যুক্ত। মা-বাবা বাহক কিনা তা নির্ধারণ করতে গর্ভাধারনের আগেই জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর জন্য স্ক্রীনিং হিসেবে এই পরীক্ষাটি করা হয়ে খাকে।

উপসর্গবিহীন অভিভাবক কিন্তু যাদের একটি আক্রান্ত শিশু আছে তাদের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে।

রোগ নির্ণয়:

যাদের অব্যক্ত রক্তস্বল্পতার লক্ষণ রয়েছে বা সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (CBC) এর অস্বাভাবিক ফলাফল রয়েছে তাদের হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি (হিমোগ্লোবিন অস্বাভাবিকতা বা থ্যালাসেমিয়া) শনাক্ত করা।

একজন ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের বিভিন্ন রুপ শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে।

এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি হলো:

Haemoglobin solubility test: সিকেল সেল রোগের প্রধান হিমোগ্লোবিনে হিমোগ্লোবিন-S পরীক্ষা করতে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।

Haemoglobin electrophoresis (Hb ELP)

Haemoglobin isoelectric focusing (Hb IEF)

High Performance Liquid Chromatography (HPLC)

Capillary electrophoresis

এই পদ্ধতিগুলি বিভিন্ন হিমোগ্লোবিন অণুর ভৌত এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের হিমোগ্লোবিন ধরনকে শনাক্ত করে। এই পরীক্ষাগুলির যেকোনে একটি বা যৌথ পরীক্ষা ব্যবহার করে বেশিরভাগ হিমোগ্লোবিনের রূপ বা থ্যালাসেমিয়া সনাক্ত করা যেতে পারে। হিমোগ্লোবিনের যেকোন প্রকারের আপেক্ষিক পরিমাণ সনাক্ত করা হলে তা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি নির্ণয় করার জন্য একটি একক পরীক্ষা সাধারণত যথেষ্ট নয়। বরং বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য পরীক্ষার উদাহরণ যা সঞ্চালিত হতে পারে:

  • CBC
  • Blood film
  • Reticulocyte count
  • Iron studies such as serum iron,Ferritin, TIBC, transferrin.
  • Genetic testing: হিমোগ্লোবিন সমন্বিত প্রোটিন চেইন (আলফা এবং বিটা গ্লোবুলিন) এর জন্য কোড করে এমন জিনের মিউটেশন সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি রুটিন পরীক্ষা নয় তবে একজন ব্যক্তির একটি পরিবর্তিত জিন আছে কিনা এবং এক বা দুটি পরিবর্তিত অনুলিপি (হেটেরোজাইগাস বা হোমোজাইগাস) আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Hb Electrophoresis কখন অনুরোধ করা হয়? (When is it requested or advised?)

জাতীয় নবজাতকের স্ক্রীনিং প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এছাড়াও, এটি প্রায়শই অভিভাবক স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় যখন একজন পিতামাতা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে অথবা যখন পিতামাতার একটি শিশুর হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি থাকে। যখন একটি সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (CBC) এবং/অথবা রক্তের ফিল্মের ফলাফল নির্দেশ করে যে একজন ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিক রূপ থাকতে পারে তখন সাধারণত এই পরীক্ষাটি  আদেশ করা হয়।

যখন একজন ডাক্তার সন্দেহ করেন যে একজন ব্যক্তির লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের ফলাফল হিসেবে দেখা দিতে পারে তখন এটি অনুরোধ করা হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিক রূপগুলি প্রায়শই হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়ার দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন:

দুর্বলতা, ক্লান্তি

শক্তির অভাব

জন্ডিস

ফ্যাকাশে চামড়া

হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কিছু গুরুতর রূপ (যেমন, সিকেল সেল ডিজিজ) গুরুতর লক্ষণ এবং উপসর্গের কারণ হতে পারে, যেমন গুরুতর ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বর্ধিত প্লীহা এবং শিশুদের বৃদ্ধির সমস্যা।

পরীক্ষার ফলাফল (Report) থেকে আমি কি বুঝবো?

Haemoglobin (Hb) electrophoresis

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis এর ফলাফল ব্যাখ্যা করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

ফলাফলগুলি সাধারণত উপস্থিত হিমোগ্লোবিনের প্রকার এবং আপেক্ষিক পরিমাণ রিপোর্ট করে। 

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের শতাংশের মধ্যে রয়েছে:

হিমোগ্লোবিন A1 (Hb A1): প্রায় 95%-98%

হিমোগ্লোবিন A2 (Hb A2): প্রায় 2%-3%

হিমোগ্লোবিন F (Hb F): 2% বা তার কম

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis এমন একটি অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে যা গঠনগতভাবে পরিবর্তিত হিমোগ্লোবিন (ভেরিয়েন্ট) বা থ্যালাসেমিয়া নামক একটি অবস্থার কারণে হয়ে থাকে।এখানে একটি জিন মিউটেশনের ফলে কোনো একটি গ্লোবিন চেইনের উৎপাদন কমে যায়। এটি আলফা ও বিটা চেইনের ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে, যার ফলে কিছু অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে যা আলফা থ্যালাসেমিয়া নামে পরিচিত  অথবা ছোট হিমোগ্লোবিনগুলোর উপাদানের বৃদ্ধি ঘটায়,( যেমন Hb A2 বা Hb F) যা বিটা থ্যালাসেমিয়া নামে পরিচিত।

হিমোগ্লোবিনের কিছু অস্বাভাবিক রূপ যা এই পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত এবং পরিমাপ করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:

হিমোগ্লোবিন এস (Hb S): 

এটি সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রাথমিক হিমোগ্লোবিন। আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ আফ্রিকান বা আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত।

সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের Hb S এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সিকেল সেল বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে Hb S এর  পরিমাণ প্রায় 40% এবং Hb A এর পরিমাণ প্রায় 60%।

কম মাত্রার অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে Hb S লোহিত রক্তকণিকাকে ক্রিসেন্ট আকৃতিতে পরিবর্তিত করে দেয় (যেমন কেউ ব্যায়াম করলে বা ফুসফুসে সংক্রমণ হলে ঘটতে পারে)। অসুস্থ লহিত রক্ত ​​কোষ ছোট রক্তনালীগুলিকে ব্লক করতে পারে, যার ফলে ব্যথা, দুর্বল সঞ্চালন, এবং টিস্যু ও কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়।লহিত রক্ত কোষের বেঁচে থাকার সময়ও হ্রাস পায়।

হিমোগ্লোবিন সি (Hb C): 

আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রায় 2-3% মানুষের হিমোগ্লোবিন C বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হিমোগ্লোবিন সি রোগ বিরল এবং তুলনামূলকভাবে হালকা। এটি সাধারণত অল্প পরিমাণে হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া এবং প্লীহার হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃদ্ধি ঘটায়।

হিমোগ্লোবিন ই (Hb E): 

এটি বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ বিটা চেইন হিমোগ্লোবিন রূপগুলির মধ্যে একটি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। Hb E এর ব্যক্তিদের সাধারণত একটি হালকা হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া, মাইক্রোসাইটিক লোহিত রক্তকণিকা এবং প্লীহার হালকা বৃদ্ধি দেখা দেয়। 

কিছু কম সাধারণ অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন রূপগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

হিমোগ্লোবিন এফ (Hb F): 

এটি ভ্রূণ দ্বারা উত্পাদিত প্রাথমিক হিমোগ্লোবিন। সাধারণত, জন্মের পর Hb F এর উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং 1-2 বছর বয়সের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের স্তরে চলে আসে। বিটা থ্যালাসেমিয়া এবং সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বিভিন্ন ব্যাধিতে Hb F বৃদ্ধি পেতে পারে।

হিমোগ্লোবিন এইচ (Hb H):

আলফা থ্যালাসেমিয়ার কিছু ক্ষেত্রে ঘটে। এটি চারটি বিটা গ্লোবিন চেইনের সমন্বয়ে গঠিত এবং আলফা চেইনের তীব্র ঘাটতির কারণে এটি তৈরি হয়। 

হিমোগ্লোবিন বার্টস: 

এই ধরনের আলফা থ্যালাসেমিয়া ভ্রূণে বিকশিত হয়। এটি চারটি গামা প্রোটিন শৃঙ্খলে গঠিত হয় যেখান আলফা চেইনের ঘাটতি থাকে (যেমন Hb H-এর গঠনের অনুরূপ)। তবে জন্মের পরপরই  গামা চেইন উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে বার্টগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।

এছাড়াও অন্যান্য ধরনের অন্তর্ভুক্ত:

  • Haemoglobin D
  • Haemoglobin G
  • Haemoglobin J
  • Haemoglobin M
  • Haemoglobin Constant Spring

একজন ব্যক্তি দুটি ভিন্ন অস্বাভাবিক জিনও উত্তরাধিকার সূত্রে পেতে পারেন।  পিতা ও মাতার থেকে একটি করে। এটি যৌগিক হেটেরোজাইগাস বা দ্বিগুণ হেটেরোজাইগাস হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন চিকিৎসাগতভাবে উল্লেখযোগ্য সংমিশ্রণের মধ্যে রয়েছে: 

হিমোগ্লোবিন ই – বিটা থ্যালাসেমিয়া (Haemoglobin E – beta thalassaemia),

হিমোগ্লোবিন এস – বিটা থ্যালাসেমিয়া (Haemoglobin S – beta thalassaemia)। 

হিমোগ্লোবিন এস,সি ডিজিজ (Haemoglobin SC disease) , 

সিকেল সেল – হিমোগ্লোবিন ডি ডিজিজ (Sickle cell – haemoglobin D disease), 

এই বিষয়ে আরও জানতে, হিমোগ্লোবিন অস্বাভাবিকতা এবং থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কিত নিবন্ধগুলি দেখুন।

Haemoglobin (Hb) Electrophoresis পরীক্ষার ফলাফলের কিছু উদাহরণ নিম্নলিখিত সারণীতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

Results SeenConditionGenes
Slightly decreased Hb A
Moderate amount Hb S (about 40%)
Sickle cell traitOne gene copy for Hb S (heterozygous
Majority Hb S
Increased Hb F (up to 10%)
No Hb A
Sickle cell diseaseTwo gene copies for Hb S (homozygous)
Majority Hb C
No Hb A
Haemoglobin C diseaseTwo gene copies for Hb C (homozygous)
Majority Hb A
Some Hb H
Haemoglobin H disease (alpha thalassaemia)Three out of four alpha genes are mutated (deleted)
Majority Hb F
Little or no Hb A
Beta thalassemia majorBoth beta genes are mutated
Majority Hb A
Slightly Increased Hb A2 (4-8%)
Hb F may be slightly increased
Beta thalassemia minorOne beta gene is mutated

Hb Electrophoresis সম্পর্কে জানা দরকার এমন আর কিছু কি আছে?

রক্ত সঞ্চালন Haemoglobin (Hb) Electrophoresis পলিক্ষায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই পরীক্ষা করার আগে একজন রোগীকে ট্রান্সফিউশনের পর কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

তবে সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের, লাল রক্ত কণিকার সিকলিং থেকে ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন দেওয়া হয়।এক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন দেওয়া হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য ট্রান্সফিউশনের পরে পরীক্ষাটি করা যেতে পারে।

কেন প্রতিটি নবজাতকের স্ক্রীনিং গুরুত্ত্বপূর্ণ:

নবজাতকের স্ক্রীনিং জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে সম্ভাব্য চিকিৎসাযোগ্য জন্মগত ব্যাধি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।যদি একটি অবস্থা দ্রুত সনাক্ত করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয় তাহলে সম্ভাব্য জীবন-হুমকি, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং গুরুতর আজীবন অক্ষমতা এড়ানো বা হ্রাস করা যেতে পারে। এছাড়াও, যেহেতু নবজাতকের স্ক্রীনিং প্রোগ্রামগুলিতে হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিক রুপ সনাক্ত করার জন্য Hb Electrophoresis পরীক্ষাটি বাধ্যতামূলক। তাই, এর মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে সনাক্ত করা সম্ভব যারা বিভিন্ন হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির বাহক। বাহকের অবস্থার তথ্য তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন তারা একটি পরিবার গঠনের পরিকল্পনা শুরু করে।

error: Content is protected !!