Skip to content
Home » MT Articles » কোলন ক্যান্সার : কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।

কোলন ক্যান্সার : কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।

কোলন ক্যান্সার

কোলন ক্যান্সার কি?

কোলন ক্যান্সার হল মলাশয়, মলনালী বা অ্যাপেন্ডিক্সে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট একটি ক্যান্সার। এটি বৃহদান্ত্র বা কোলন ক্যান্সার নামেও পরিচিত। বৃহদান্ত্র হল একটি নল যা খাদ্যনালী থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যকে বহন করে। মলাশয় হল একটি ছোট থলি যেখানে মল সংগ্রহ হয়। অ্যাপেন্ডিক্স হল একটি ছোট নল যা বৃহদান্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলত্যাগের সময় ব্যথা
  • মলনালী দিয়ে রক্তপাত
  • মলত্যাগের পরেও মলত্যাগের অনুভূতি
  • ওজন হ্রাস
  • পেটে ব্যথা বা ফোলাভাব
  • পেটে চাকা
  • জ্বর বা ক্লান্তি

কোলন ক্যান্সার কেন হয়?

আরোও পড়ুন

ক্যান্সার কি? ক্যান্সার কেন হয়? ক্যান্সারের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ।

কোলন ক্যান্সারের কারণগুলি অজানা, তবে কিছু ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বয়স: 50 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
  • পারিবারিক ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে কোলন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তাহলে আপনার ঝুঁকি বেশি।
  • জেনেটিক অবস্থা: কিছু জেনেটিক অবস্থা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোম্যাটাস পলিপোসিস (FAP) এবং হেমোরোইডাল পলিপোসিস।
  • খাদ্যাভ্যাস: যারা প্রচুর পরিমাণে লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট খায় তাদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
  • ধূমপান: ধূমপায়ীদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।

রোগ নির্ণয়:

কোলন ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • কোলনোস্কোপি: এই পরীক্ষায়, একটি নমনীয় নল যা ক্যামেরার সাথে সংযুক্ত থাকে তা মলদ্বার দিয়ে ঢোকানো হয়। ক্যামেরাটি বৃহদান্ত্র এবং মলাশয়ের ছবি তোলে।
  • বায়োপসি: একটি সন্দেহজনক স্থান থেকে কোষের একটি নমুনা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
  • রক্ত পরীক্ষা: কিছু রক্ত পরীক্ষা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

চিকিৎসা:

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয়

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • অস্ত্রোপচার: ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু এবং নিয়মিত টিস্যু অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে।
  • কেমোথেরাপি: ক্যান্সার কোষগুলি ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার কোষগুলি ধ্বংস করার জন্য বিকিরণ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসার লক্ষ্য হল ক্যান্সারকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা। যদি ক্যান্সার ছড়িয়ে যায়, তাহলে চিকিৎসার লক্ষ্য হল লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং রোগের অগ্রগতি ধীর করা।

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয়:

কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচার সম্ভাবনা নির্ভর করে ক্যান্সারের স্তরের উপর। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়া কোলন ক্যান্সারের 5 বছরের বেঁচে থাকার হার 90% এরও বেশি। 4র্থ পর্যায়ে ধরা পড়া কোলন ক্যান্সারের 5 বছরের বেঁচে থাকার হার 10% এরও কম।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কিছু জিনিস করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং পূর্ণ শস্য খান। লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ সীমিত করুন।
  • ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
error: Content is protected !!