হার্ট
হার্ট হল শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা রক্তকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পাম্প করে। এটি বুকের মধ্য প্রকোষ্ঠে ফুসফুস দুটির মাঝখানে অবস্থিত। হার্টের আকার প্রায় একটি বদ্ধ মুষ্টির সমান। হার্টের প্রধান কাজ হল রক্তকে শরীরের সমস্ত অংশে পাম্প করা। এটি রক্ত থেকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপাদানগুলিকে শরীরের কোষগুলিতে সরবরাহ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং বর্জ্য পদার্থগুলিকে শরীর থেকে অপসারণ করে। হার্টকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
নিম্নলিখিত ১০ টি খাবার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে:
১) ফলমূল:
ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, তরমুজ, কমলা, আপেল, আঙ্গুর, এবং স্ট্রবেরি হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী।
২) সবজি:
সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, এবং ক্যাপসিকাম হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী।
৩) গোটা শস্য:
গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ওটমিল, ব্রাউন রাইস, এবং বাজরা হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী।
৪) মাছ:
মাছেতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা, এবং ম্যাকেরেল হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী।
৫) বাদাম এবং বীজ:
বাদাম এবং বীজে প্রোটিন, ফাইবার, এবং অন্যান্য পুষ্টি থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, আখরোট, কাজুবাদাম, এবং বাদাম হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী।
৬) ডাল:
ডালে প্রোটিন, ফাইবার, এবং অন্যান্য পুষ্টি থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭) টক দই:
টক দইয়ে প্রোবায়োটিকস থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৮) অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েলে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৯) পানি:
পানি হার্টকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
১০) আদা:
আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখতে আরোও কিছু টিপস:
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি খান।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান।
- স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ত্যাগ করুন।
- অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।