Skip to content
Home » MT Articles » পালংশাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

পালংশাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

পালংশাকের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

পালংশাক

পালংশাক একটি পুষ্টিকর সবজি যা ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। পালংশাকের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে।পালংশাক একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর সবজি যা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। এটি কাঁচা, রান্না বা পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। কাঁচা পালংশাক সালাদ, স্যুপ বা স্যালাড ড্রেসিংয়ে ব্যবহার করা হয়। রান্না করা পালংশাক তরকারি, ভর্তা, ডাল, মাংস বা মাছ রান্নায় ব্যবহার করা হয়।আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান, তাহলে পালংশাককে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

পালংশাকের পুষ্টিগুণ:

১০০ গ্রাম পালংশাকের পুষ্টি উপাদান পরিমাণ নিম্নরূপ:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি২৩ কিলোক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট৩.৫ গ্রাম
প্রোটিন২.৯ গ্রাম
ফ্যাট০.৪ গ্রাম
খাদ্যআঁশ৩.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি৬২ মিলিগ্রাম
বিটা ক্যারোটিন১০,৯০০ আইইউ
ভিটামিন কে৪০২ মাইক্রোগ্রাম
পটাসিয়াম৫৫৩ মিলিগ্রাম
ফোলেট৬৬ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম২৭ মিলিগ্রাম
আয়রন২.৭ মিলিগ্রাম

পালংশাকের উপকারিতা:

পালংশাকের উপকারিতা

হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: 

পালংশাক ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: 

পালংশাক ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনের ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা কোষের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে: 

পালংশাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। তারা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে পারে।

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: 

পালংশাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তারা রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আরোও পড়ুন

বেগুনের কি কোনো পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা আছে?

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: 

পালংশাক ভিটামিন সি এবং কে এর ভালো উৎস, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে, যা ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: 

পালংশাক একটি পুষ্টিকর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। পালংশাক খেলে আপনি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে: 

পালংশাকের আয়রন রয়েছে, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতায় ভুগলে পালংশাক খেলে রক্তের অভাব পূরণ হয়।

পালংশাকের অপকারিতা:

পালংশাকের অপকারিতা

পালংশাক একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর সবজি যা বেশিরভাগ মানুষ সহজেই সহ্য করতে পারে। তবে, কিছু লোকের জন্য পালংশাক উপকারী নাও হতে পারে।

পালংশাকের সম্ভাব্য অপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা: পালংশাক ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা কিছু লোকের জন্য পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং পেট ফাঁপা।
  • অ্যালার্জি: পালংশাক একটি প্রোটিন থাকে যা কিছু লোকের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং শ্বাসকষ্ট।
  • রক্তপাত: পালংশাকে এ ভিটামিন কে রয়েছে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যদি আপনি রক্তপাতের সমস্যায় ভুগছেন বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন, তাহলে পালংশাক খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

পালংশাকের অপকারিতা এড়াতে, আপনি এটিকে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদি আপনি পালংশাক খাওয়ার পরে কোনও অপ্রত্যাশিত লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে তা গ্রহণ করা বন্ধ করুন এবং আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

error: Content is protected !!