Skip to content
Home » MT Articles » কালজিরার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

কালজিরার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

কালজিরার পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

কালজিরা

কালজিরা একটি পুষ্টিকর মসলা যা আয়ুর্বেদীয় ও ইউনানী চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কালজিরার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

কালজিরার পুষ্টিগুণ:

কালজিরা একটি পুষ্টিকর মসলা যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কালজিরার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ নিম্নরূপ:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি23
কার্বোহাইড্রেট6.7 গ্রাম
প্রোটিন2.4 গ্রাম
চর্বি0.7 গ্রাম
ফাইবার4.7 গ্রাম
ভিটামিন সি1.5 মিলিগ্রাম
থায়ামিন0.1 মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন0.1 মিলিগ্রাম
নিয়াসিন0.4 মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড0.1 মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি60.1 মিলিগ্রাম
ফোলেট12 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি120 মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম20 মিলিগ্রাম
আয়রন0.7 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম20 মিলিগ্রাম
ফসফরাস27 মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম209 মিলিগ্রাম
সোডিয়াম11 মিলিগ্রাম
জিঙ্ক0.5 মিলিগ্রাম

কালজিরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল থাইমোকুইনোন। থাইমোকুইনোন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কালজিরায় অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন, এবং জিঙ্ক।

কালজিরার উপকারিতা:

কালজিরার উপকারিতা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে:

 কালজিরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ কমাতে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে, এবং হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

 কালজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং ফ্লু, ঠান্ডা, এবং অন্যান্য সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমাতে পারে।

হজম শক্তি বাড়ায়: 

কালজিরাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, এবং অন্যান্য হজম সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: 

কালজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: 

কালজিরায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এবং রক্তের জমাট বাঁধা রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

আরোও পড়ুন

আদার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: 

কালজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ, এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে।

চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: 

কালজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি চুল পড়া রোধ করতে, চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে, এবং চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।

কালজিরার অপকারিতা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কালজিরার অপকারিতা

এটি একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ভেষজ বলে মনে করা হয়, তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। কালজিরার অপকারিতা নিম্নরূপ:

  • অ্যালার্জি: কালজিরার প্রতি কারও অ্যালার্জি থাকলে এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, এবং শ্বাসকষ্ট।
  • গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে কালজিরার ব্যবহারের বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই। তাই এই সময় কালজিরা সেবন করা উচিত নয়।
  • ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া: কালজিরা কিছু ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। তাই কালজিরা সেবন করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

কালজিরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা এবং স্বল্পস্থায়ী হয়। তবে যদি আপনি কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন।

error: Content is protected !!