Skip to content
Home » MT Articles » অলিভ ওয়েল কি? অলিভ ওয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহার।

অলিভ ওয়েল কি? অলিভ ওয়েল এর উপকারিতা ও ব্যবহার।

অলিভ ওয়েল

অলিভ ওয়েল

অলিভ ওয়েল হল জলপাই ফল থেকে প্রাপ্ত এক প্রকার তেল। এটি রান্না, প্রসাধনী এবং ওষুধ সহ বিভিন্ন কাজে হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অলিভ ওয়েল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি, প্রদাহ কমাতে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।

অলিভ ওয়েলের উপকারিতা/ভেষজ গুণ:

অলিভ ওয়েলের উপকারিতা

স্বাস্থ্যের জন্য:

  • হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: অলিভ ওয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (MUFA)
    • “খারাপ” LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
    • “ভাল” HDL কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রদাহ কমায়: অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
    • প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
    • যা ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং আর্থারাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে: অলিভ ওয়েলে থাকা MUFA
    • মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে
    • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে: অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
    • ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধে সাহায্য করে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: অলিভ ওয়েলে থাকা ভিটামিন K
    • হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
    • হাড়ের ভঙ্গুরতা কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: এটি
    • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
    • যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের জন্য:

আরোও পড়ুন

এ্যালোভেরা এর যাদুকরী গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।
  • ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে: ইহা
    • ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে
    • ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
  • বয়সের ছাপ দূর করে: অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
    • বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে
    • ত্বককে তরুণ রাখে।
  • চুলকে পুষ্টি প্রদান করে: এটি
    • চুলকে পুষ্টি প্রদান করে
    • চুলকে শক্ত ও ঘন করে তোলে।
  • খুশকি দূর করে: ইহা
    • খুশকি দূর করতে সাহায্য করে
    • চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

অন্যান্য উপকারিতা:

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: 
    • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
    • হজমশক্তি উন্নত করে।
  • ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে:
    • ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে
    • মাথাব্যথা, গিঁটে ব্যথা এবং পেশী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

অলিভ ওয়েলের অপকারিতা:

অলিভ ওয়েলের অপকারিতা

অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে:

  • ওজন বৃদ্ধি: অলিভ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • পেট খারাপ: কিছু লোকের ইহা গ্রহণ করলে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
  • রক্তচাপ কমে যাওয়া: এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তচাপ কম থাকে তাদের অলিভ ওয়েল সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
  • অ্যালার্জি: কিছু লোকের অলিভ ওয়েলে অ্যালার্জি থাকতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং শ্বাসকষ্ট।
  • ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া: এটি কিছু ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই আপনি যদি কোন ঔষধ খান তবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

অলিভ ওয়েল ব্যবহারের নিয়ম:

রান্নায়:

  • সালাদ ড্রেসিং: ইহা সালাদ ড্রেসিং তৈরির জন্য একটি চমৎকার উপাদান। এটি সালাদে স্বাদ এবং পুষ্টি যোগ করে।
  • ভাজার জন্য: অলিভ ওয়েল উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার জন্য উপযুক্ত কারণ এটিতে উচ্চ ধোঁয়া বিন্দু রয়েছে।
  • মেরিনেড: এটি মাংস, মাছ এবং শাকসবজি মেরিনেট করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • সস: অলিভ ওয়েল বিভিন্ন ধরণের সস তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ত্বক ও চুলের জন্য:

  • ময়েশ্চারাইজার: অলিভ ওয়েল ত্বক ও চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে এবং চুলকে শক্ত ও ঘন করে তোলে।
  • মেকআপ রিমুভার: ইহা মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মেকআপ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে পরিষ্কার করে।
  • ম্যাসাজ: অলিভ ওয়েল ম্যাসাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং রক্ত ​​​​সঞ্চালন উন্নত করে।

অন্যান্য ব্যবহার:

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: অলিভ ওয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ অলিভ ওয়েল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • ব্যথানাশক হিসেবে: অলিভ ওয়েল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। মাথাব্যথা, গিঁটে ব্যথা এবং পেশী ব্যথা কমাতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

অলিভ ওয়েল তৈরি করার দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে:

অলিভ ওয়েল ব্যবহারের নিয়ম

ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি:

  1. ফসল কাটা: প্রথমে, জলপাই গাছ থেকে জলপাই ফল সংগ্রহ করা হয়।
  2. ধোয়া: জলপাইগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়।
  3. চূর্ণ করা: জলপাইগুলোকে পাথরের গরুর গাড়িতে চূর্ণ করা হয়।
  4. পেস্ট তৈরি: চূর্ণ করা জলপাই থেকে পেস্ট তৈরি করা হয়।
  5. প্রেসিং: পেস্টটিকে একটি প্রেসের মাধ্যমে চেপে তেল বের করা হয়।
  6. ছেঁকে ফেলা: তেল থেকে পানি ও অন্যান্য কণা ছেঁকে ফেলা হয়।
  7. সংরক্ষণ: তেলকে বোতলে ভরে সংরক্ষণ করা হয়।

আধুনিক পদ্ধতি:

  1. ধোয়া: জলপাইগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়।
  2. চূর্ণ করা: জলপাইগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করা হয়।
  3. মেশানো: জলপাইয়ের টুকরো, গরম পানি এবং এনজাইম একসাথে মেশানো হয়।
  4. সেন্ট্রিফিউজেশন: মিশ্রণটিকে একটি সেন্ট্রিফিউজের মাধ্যমে ঘোরানো হয়।
  5. তেল আলাদা করা: সেন্ট্রিফিউজেশনের মাধ্যমে তেল পানি ও অন্যান্য কণা থেকে আলাদা করা হয়।
  6. পরিশোধন: তেলকে পরিশোধিত করা হয়।
  7. সংরক্ষণ: তেলকে বোতলে ভরে সংরক্ষণ করা হয়।

আধুনিক পদ্ধতিতে তেল তৈরি করতে কম সময় লাগে এবং বেশি তেল বের করা সম্ভব। তবে, ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে তৈরি তেলের স্বাদ ও গন্ধ বেশি ভালো হয়।

This articles is written with the help of Gemini

সম্পর্কিত:

তুলসী পাতা কেন খাবেন? তুলসী পাতার ১০টি অসাধারণ ভেষজ গুণ।

March 20, 2024

নারিকেল: নারিকেলের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই কি উপকারী?

February 22, 2025

চুইঝাল: খুলনার বিখ্যাত মুখরোচক মসলা।স্বাদে ও গুণে অতুলনীয়।

April 24, 2025

সোনাপাতা কি? সোনাপাতার অজানা ভেষজগুণ সম্পর্কে জানুন।

March 28, 2024

চোখ সুস্থ রাখতে ৮ টি খাবার।

October 15, 2023

চালতার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। চালতার আচারের রেসিপি।

September 20, 2023

কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

December 12, 2023

মটরশুটি সবজি: মটরশুটির পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

October 5, 2024

ওটস কি? ওটসের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

October 1, 2024

সুপারি কি? জেনেনিন সুপারির উপকারিতা ও অপকারিতা।

September 17, 2024
error: Content is protected !!