এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) কি?
এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) হলো একটি সাধারণ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস যা বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাইরাসটি প্রায়শই সাধারণ সর্দির মতো লক্ষণ দেখায়, তবে কখনো কখনো এটি গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা যেমন নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিসের কারণ হতে পারে।
এইচএমপিভি কীভাবে ছড়ায়?
- সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ: হাঁচি, কাশি বা নাক দিয়ে বের হওয়া ফোঁটা দ্বারা এই ভাইরাস ছড়ায়।
- দূষিত পৃষ্ঠতল স্পর্শ: ভাইরাসযুক্ত পৃষ্ঠতল স্পর্শ করে মুখ বা নাক স্পর্শ করলেও সংক্রমণ হতে পারে।
এইচএমপিভির লক্ষণ

- জ্বর
- কাশি
- নাক বন্ধ
- গলা ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- শরীর যন্ত্রণা
- ক্লান্তি
আরোও পড়ুন
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV). যা কিছু জানা প্রয়োজন।
কারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে?
- শিশু, বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সী শিশু
- বয়স্ক ব্যক্তি
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি
- হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি
এইচএমপিভি নির্ণয়
চিকিৎসক সাধারণত রোগীর লক্ষণ এবং চিকিৎসা ইতিহাসের ভিত্তিতে এইচএমপিভি নির্ণয় করেন। কখনো কখনো নাক বা গলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

চিকিৎসা
এইচএমপিভির জন্য কোন নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণ উপশম করার উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। যেমন:
- জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল
- নাক বন্ধের জন্য ডিকংজেস্ট্যান্ট
- কাশি দমন করার জন্য কাশি সিরাপ
প্রতিরোধ
- হাত ধোয়া: সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া।
- মুখ ঢেকে কাশি ও হাঁচি: কাশি বা হাঁচির সময় মুখ টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজ দিয়ে ঢাকা।
- অসুস্থ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ এড়ানো: যতটা সম্ভব অসুস্থ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ এড়ানো।
- পরিবেশ পরিষ্কার রাখা: ঘরবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং বায়ু সঞ্চালন নিশ্চিত করা।
মনে রাখবেন: এইচএমপিভি সাধারণত হালকা রোগ হলেও, শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হতে পারে। তাই যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ এইচএমপিভির লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।