Skip to content
Home » MT Articles » পিয়াজের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। পিয়াজ কেন খাবেন?

পিয়াজের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। পিয়াজ কেন খাবেন?

পিয়াজের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

পিয়াজ

পিয়াজ হল অ্যালিয়াম পরিবারের একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা রসুন, রসুনের গুঁড়া, এবং শিমুল বাঁশের মতো অন্যান্য উদ্ভিদের সাথে সম্পর্কিত। পিয়াজ একটি জনপ্রিয় রান্নার উপাদান যা তার ঝাঁঝালো স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত। পিয়াজের বিভিন্ন রঙের প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সাদা, হলুদ, লাল, এবং বেগুনি।এটি বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে স্যুপ, স্টু, সালাদ, এবং সস।পিয়াজ একটি পুষ্টিকর সবজি যা ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটি ভাল উৎস। এটি ফাইবারের একটি ভাল উৎসও।

পিয়াজের পুষ্টিগুণ:

পিয়াজ একটি পুষ্টিকর সবজি যা ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটি ভাল উৎস। এটি ফাইবারের একটি ভাল উৎসও।

এখানে পিয়াজের পুষ্টি উপাদান রয়েছে:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি49
কার্বোহাইড্রেট10 গ্রাম
প্রোটিন2 গ্রাম
ফাইবার3 গ্রাম
ভিটামিন সি15% (RDA)
ভিটামিন বি৬10% (RDA)
পটাসিয়াম10% (RDA)
ফসফরাস6% (RDA)
ম্যাগনেসিয়াম5% (RDA)
*RDA হলো প্রতিদিনের চাহিদার পরিমান

পিয়াজ এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, এবং খনিজ ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের একটি ছোট উৎস।

পিয়াজের পুষ্টি উপাদানগুলি এটির স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদানে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, পিয়াজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পিয়াজে থাকা ফাইবার হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

পিয়াজের উপকারিতা:

পিয়াজের উপকারিতা

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: 

পিয়াজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি সর্দি, ফ্লু, এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

২. রক্তচাপ কমায়:

 পিয়াজ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে এবং রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে।

৩. কোলেস্টেরল কমায়: 

পিয়াজ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল (এলডিএল) এর মাত্রা কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এর মাত্রা বাড়ায়।

৪. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে:

 পিয়াজ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, এবং রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়।

৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: 

পিয়াজ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ফুসফুস ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দেখা গেছে।

আরোও পড়ুন

আদার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

৬. প্রদাহ কমায়: 

পিয়াজ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

৭. হজমশক্তি উন্নত করে: 

পিয়াজ হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পেটের গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে পারে, এবং এটি হজম রস নিঃসরণকে উদ্দীপিত করতে পারে।

৮. ভিটামিন সি এর ভাল উৎস:

ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

পিয়াজের অপকারিতা:

পিয়াজের অপকারিতা
  • অম্বল বা বমি বমি ভাব: পিয়াজে সালফার রয়েছে, যা কিছু লোকের মধ্যে অম্বল বা বমি বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • গ্যাস বা ডায়রিয়া: পিয়াজতে চিনি এবং ফাইবার রয়েছে, যা কিছু লোকের মধ্যে গ্যাস বা ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  • চোখের জ্বালাপোড়া: পিয়াজ কাটার সময় চোখের জ্বালাপোড়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি পিয়াজে থাকা সালফার যৌগগুলির কারণে হয়।
  • রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি: পিয়াজ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যারা রক্তপাতের ওষুধ গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে।
  • গর্ভাবস্থায় সমস্যা: গর্ভাবস্থায় অত্যধিক পিয়াজ খাওয়া এড়ানো উচিত। এটি ভ্রূণের বিকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
error: Content is protected !!