Skip to content
Home » MT Articles » কাঁচা মরিচ কি? কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

কাঁচা মরিচ কি? কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

কাঁচা মরিচ

কাঁচা মরিচ

কাঁচা মরিচ হল একটি মসলা যা ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র রান্না ও ঔষধি হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ:

কাঁচা মরিচ এর পুষ্টিগুণ
পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি25
কার্বোহাইড্রেট6 গ্রাম
প্রোটিন1 গ্রাম
চর্বি0.2 গ্রাম
ফাইবার1.7 গ্রাম
ভিটামিন সি159 মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ430 আইইউ
পটাসিয়াম179 মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম10 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম12 মিলিগ্রাম
ফসফরাস20 মিলিগ্রাম
আয়রন0.2 মিলিগ্রাম
জিংক0.1 মিলিগ্রাম
সেলেনিয়াম0.2 মাইক্রোগ্রাম

কাঁচা মরিচের উপকারিতা:

কাঁচা মরিচের উপকারিতা

১) হজমশক্তি বাড়ায়: 

কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পেটের মধ্যে থাকা পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ায় এবং খাদ্য হজমে সহায়তা করে।

২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: 

কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: 

আরোও পড়ুন

দারুচিনি কি? দারুচিনির পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।

৪) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: 

কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তের প্রবাহ উন্নত করে এবং হৃদযন্ত্রের উপর চাপ কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৫) স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: 

গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে সংযোগ উন্নত করে এবং স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬) ওজন কমাতে সাহায্য করে: 

কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। এটি দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা মরিচ এর অপকারিতা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কাঁচা মরিচ বোম্বায়
  • গ্যাস, পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব: কাঁচা মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ থাকে যা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বেশি খেলে গ্যাস, পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা: কাঁচা মরিচের রস ত্বকে লাগলে জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ি হতে পারে। 
  • হৃদযন্ত্রের সমস্যা: কাঁচা মরিচ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কাঁচা মরিচ কম খেতে হবে।
  • চোখের জ্বালাপোড়া: কাঁচা মরিচের রস চোখে লাগলে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই চোখের সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন।
  • অ্যালার্জি: কাঁচা মরিচের প্রতি কারও অ্যালার্জি থাকলে সেক্ষেত্রে এটি খেলে অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে। এটি একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া যা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কাঁচা মরিচ খাওয়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে:

  • প্রথমে অল্প পরিমাণে খেয়ে দেখুন।
  • খাওয়ার পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • কাঁচা মরিচ কাটলে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • চোখে লাগলে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
error: Content is protected !!