Skip to content
Home » MT Articles » ত্বক সুস্থ রাখতে ১০ টি খাবার।

ত্বক সুস্থ রাখতে ১০ টি খাবার।

ত্বক

ত্বক


ত্বক হলো মানুষের দেহের বাইরের আবরণ। এটি মানুষের দেহের বৃহত্তম অঙ্গ। ত্বক দেহকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যেমন- সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, আঘাত, সংক্রমণ ইত্যাদি। ত্বক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ত্বক মানুষের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে।

১) ফল এবং শাকসবজি: 

ত্বক সুস্থ রাখে ফল এবং শাকসবজি

ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, যা ত্বককে শক্ত এবং স্থিতিস্থাপক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের পুনর্জন্মকে সমর্থন করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ক্ষতিকারক সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

২) বাদাম এবং বীজ: 

বাদাম এবং বীজ

বাদাম এবং বীজ ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: 

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। এগুলি ত্বকের কোষের মেমব্রেনগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে স্যামন, মাছ, চিংড়ি, বাদাম এবং বীজ।

৪) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: 

প্রোটিন ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, মুরগি, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার এবং বাদাম।

৫) পানি: 

আরোও পড়ুন

লিভার সুস্থ রাখতে ১০ টি খাবার।

পানি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ত্বক শরীরের সর্ববৃহৎ অঙ্গ এবং এটি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন।

৬) হলুদ: 

ত্বক সুস্থ রাখতে হলুদ

হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ব্রণ, দাগ এবং অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসায়ও সাহায্য করতে পারে। হলুদ সবজি, মাংস, ডিম এবং অন্যান্য খাবারে যোগ করা যেতে পারে।

৭) গাজর: 

গাজর

গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা ত্বকে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ত্বকের কোষগুলিকে পুনর্নবীকরণ করতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গাজর কাঁচা, রান্না করা বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে।

৮) আপেল: 

আপেল

আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে এবং পটাসিয়াম ত্বকের পিএইচ স্তরকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে। আপেল কাঁচা বা রান্না করা যেতে পারে।

৯) আঙ্গুর: 

 আঙ্গুর

আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ব্রণ, দাগ এবং অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসায়ও সাহায্য করতে পারে। আঙ্গুর কাঁচা বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে।

১০) ব্রকলি: 

ব্রকলি

ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। এটি ত্বককে স্থিতিস্থাপক এবং প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে। ব্রকলি কাঁচা, সিদ্ধ বা গ্রিল করা যেতে পারে।

error: Content is protected !!