Skip to content
Home » MT Articles » পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও রেসিপি।

পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও রেসিপি।

পুঁই শাক

পুঁই শাক


পুঁই শাক এক প্রকার লতানো সবজি। পুঁই শাকের পাতা এবং ডাঁটা উভয়ই খাওয়া হয় এবং এটি ভিটামিন এ, সি এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। পুঁই শাক দুটি প্রকারের হয়: সবুজ পাতা এবং লাল পাতা। এটি ভাজা, ভর্তা বা তরকারি হিসেবে রান্না করা যেতে পারে। এই শাক বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় খুব জনপ্রিয়।

পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ:

উপাদানপরিমাণ (প্রতি 100 গ্রাম)
ক্যালোরি20 কিলোক্যালোরি
পানি87.8 গ্রাম
প্রোটিন2.2 গ্রাম
চর্বি0.2 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট3.7 গ্রাম
আঁশ2.2 গ্রাম
খনিজ পদার্থ0.7 গ্রাম
ভিটামিন এ6500 আইইউ
ভিটামিন সি22 মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে120 মাইক্রোগ্রাম
থায়ামিন (B1)0.09 মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন (B2)0.13 মিলিগ্রাম
নিয়াসিন (B3)0.8 মিলিগ্রাম
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (B5)0.3 মিলিগ্রাম
ভিটামিন B60.2 মিলিগ্রাম
ফোলেট190 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন B120.0 মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম104 মিলিগ্রাম
আয়রন3.2 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম82 মিলিগ্রাম
ফসফরাস56 মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম558 মিলিগ্রাম
সোডিয়াম19 মিলিগ্রাম
জিঙ্ক0.5 মিলিগ্রাম
পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ
পুঁই শাক

পুঁই শাকের উপকারিতা:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

  • পুঁই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

২. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে:

  • পুঁই শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৩. রক্তাল্পতা দূর করে:

  • পুঁই শাকে আয়রন থাকে যা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • এটি শরীরে লোহিত রক্ত ​​কণিকার (RBC) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

৪. ত্বক ও চুলের জন্য ভালো:

  • পুঁই শাকে থাকা ভিটামিন এ ও সি ত্বক ও চুলের জন্য ভালো।
  • এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া রোধ করে।

আরোও পড়ুন

পালংশাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

৫. হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো:

  • পুঁই শাকে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।
  • এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

  • পুঁই শাকে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:

  • পুঁই শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • এটি কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।

৮. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

  • পুঁই শাকে ক্যালোরি কম এবং আঁশ বেশি থাকে।
  • এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৯. চোখের জন্য ভালো:

  • পুঁই শাকে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো।
  • এটি রাতকানা রোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

১০. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ভালো:

  • পুঁই শাকে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ভালো।
  • এটি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।

পুঁই শাক এর অপকারিতা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

  • অ্যালার্জি: কিছু লোকের পুঁই শাকে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফোলাভাব, এবং শ্বাসকষ্ট।
  • পেট খারাপ: পুঁই শাক অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ, ডায়রিয়া, এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
পুঁই শাক এর বীজ
পুঁই শাকের বীজ

পুঁই শাকের রেসিপি:

পুঁই শাকের ভাজি রান্নার পদ্ধতি:

উপকরণ:

  • পুঁই শাক – ৫০০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
  • রসুন কুচি – ১ চা চামচ
  • আদা কুচি – ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
  • লবণ – স্বাদমতো
  • তেল – পরিমাণমতো
পুঁই শাক ভাজি

প্রণালী:

১. পুঁই শাক ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ২. একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে নিন। ৩. এরপর রসুন কুচি ও আদা কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন। ৪. হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ৫. পুঁই শাক দিয়ে আরও কয়েক মিনিট কষিয়ে নিন। ৬. লবণ ও পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ৭. পুঁই শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

error: Content is protected !!