মলা মাছ:
মলা মাছ বাংলাদেশের স্থানীয় একটি মিঠা পানির মাছ। এটি দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে পাওয়া যায় এবং এর সুস্বাদুতা ও পুষ্টিগুণের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।চলুন সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক মলা মাছের বৈশিষ্ট্য মলা মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
মলা মাছের বৈশিষ্ট্য:
- দেহ: দুই পাশ থেকে চ্যাপ্টা এবং লম্বা।
- লেজ: দুই বিভক্ত।
- আকার: সাধারণত ৯ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়।
- রং: পিঠের দিক কালচে, কানকো থেকে লেজ পর্যন্ত চওড়া রূপালী রঙের আঁশ থাকে।
- আবাস: নদী, প্লাবনভূমি, ধানক্ষেত, বিল, বাঁওড়, খাল এবং পুকুরে পাওয়া যায়।
মলা মাছের পুষ্টিগুণ:

মলা মাছের পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রামে)
মলা মাছ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর মাছ। এটি প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। নিচে প্রতি ১০০ গ্রাম মলা মাছে কতটুকু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তার একটি আনুমানিক তালিকা দেওয়া হলো:
দ্রষ্টব্য: এই তথ্যটি একটি আনুমানিক ধারণা। পুষ্টিগুণ মাছের আকার, বয়স এবং আবাসস্থল অনুযায়ী কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। সঠিক তথ্যের জন্য কোনো পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ (প্রায়) |
---|---|
ক্যালোরি | 100-120 কিলোক্যালোরি |
প্রোটিন | 18-22 গ্রাম |
চর্বি | 2-4 গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | নগণ্য |
ভিটামিন এ | 2000 IU |
ভিটামিন বি১২ | উল্লেখযোগ্য পরিমাণে |
আয়রন | 5-7 মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | 800-1000 মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | উল্লেখযোগ্য পরিমাণে |
জিংক | 3-5 মিলিগ্রাম |
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড | উল্লেখযোগ্য পরিমাণে |
মলা মাছে থাকা অন্যান্য উপকারী উপাদান:
- আমিনো এসিড: শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য।
- খনিজ পদার্থ: হাড়, দাঁত ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শরীরকে মুক্ত রেডিক্যালের (Free Radicals) ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
আরোও পড়ুন
ফলি মাছ: শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
মলা মাছ খাওয়ার উপকারিতা:

- শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশ: প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য উপকারী।
- হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে।
- চোখের স্বাস্থ্য: ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
This article is written with the help of Gemini