Skip to content
Home » MT Articles » খলসে মাছ: পুষ্টিগুণে ভরপুর গ্রাম বাংলার সুস্বাদু একটি মাছ।

খলসে মাছ: পুষ্টিগুণে ভরপুর গ্রাম বাংলার সুস্বাদু একটি মাছ।

খলসে মাছ

খলসে মাছ

খলসে মাছ, বাংলাদেশের স্থানীয় একটি মাছ যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও পাওয়া যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trichogaster এবং এটি Osphronemidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে খলসে মাছের তিনটি প্রধান প্রজাতি পাওয়া যায়: চুনা খইলশা, বড় খইলশা এবং লাল খইলশা।

খলসে মাছের বৈশিষ্ট্য:

  • দেহ: আয়তাকার এবং চাপা।
  • মুখ: ছোট আকৃতির, কিছুটা নিক্ষেপণশীল।
  • প্রজাতি: বাংলাদেশে চুনা খইলশা, বড় খইলশা এবং লাল খইলশা প্রধান।
  • বাসস্থান: দক্ষিণ এশিয়ার স্বাদু পানির জলাশয়।
  • খাদ্য: ছোট ছোট পোকামাকড় ও জলজ প্রাণী।

খলসে মাছের পুষ্টিগুণ:

খলসে মাছের পুষ্টিগুণ
খলসে মাছ
খলসে মাছের আনুমানিক পুষ্টি উপাদান (প্রতি 100 গ্রাম)
পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি100-120 ক্যালোরি
প্রোটিন18-20 গ্রাম
চর্বি2-4 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেটনগণ্য
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডমধ্যম পরিমাণে
ভিটামিন বি১২উচ্চ পরিমাণে
ফসফরাসভালো পরিমাণে
সেলেনিয়ামমধ্যম পরিমাণে
অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজস্বল্প পরিমাণে

খলসে মাছের উপকারিতা:

খলসে মাছ, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় স্বাদু পানির মাছ, শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আসুন জেনে নিই খলসে মাছ খাওয়ার উপকারিতা:

আরোও পড়ুন

মাগুর মাছ: বাঙালির প্রিয় খাবার। মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
  • উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস: খলসে মাছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে, যা শরীর গঠন, মেরামত এবং কোষ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: খলসে মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তনালীগুলোকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বাড়ায়: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের বয়সজনিত অবক্ষয় রোধ করে।
  • দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: খলসে মাছে ভিটামিন এ থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: খলসে মাছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: খলসে মাছে ফসফরাস থাকে, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: খলসে মাছে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে।

খলসে মাছ এর অপকারিতা:

খলসে মাছ এর অপকারিতা

খলসে মাছ খাওয়ার সম্ভাব্য অপকারিতা:

  • পারদ জমাৎ: যদি খলসে মাছ দূষিত জলে বেড়ে ওঠে, তাহলে তাতে পারদ জমা হতে পারে। অতিরিক্ত পারদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই, নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তাজা মাছ কেনা জরুরি।
  • অ্যালার্জি: কিছু মানুষের মাছের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। যদি আপনার মাছের প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এই মাছ খাওয়ার পর চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পরিবেশগত সমস্যা: অতিরিক্ত মাছ ধরা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, স্থায়ীভাবে মাছের প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য দায়িত্বশীলভাবে মাছ খাওয়া উচিত।
  • অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি আপনার কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই মাছ খাওয়া উচিত নয়।

This article is written with the help of Gemini

error: Content is protected !!