Skip to content
Home » MT Articles » ডুমুরের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য।

ডুমুরের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য।

ডুমুর

ডুমুর

ডুমুর (Ficus carica) Moraceae পরিবারের একটি ফল গাছ। ডুমুরের ইংরেজি নাম Fig। এটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্থানীয় এবং এশিয়া, আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকায় ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। ডুমুর ফল তার মিষ্টি স্বাদ এবং পুষ্টির জন্য পরিচিত।

ডুমুরের বৈশিষ্ট্য:

  • ডুমুর গাছ 10 থেকে 30 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
  • পাতা ডিম্বাকৃতির, 5 থেকে 10 সেমি লম্বা।
  • ফলগুলি ছোট, 2 থেকে 5 সেমি ব্যাসের, এবং সবুজ, হলুদ বা বেগুনি রঙের হতে পারে।
  • ডুমুর ফল শুকনো বা তাজা খাওয়া যেতে পারে।
ডুমুরের পুষ্টিগুণ

ডুমুরের পুষ্টিগুণ:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি58 কিলোক্যালোরি
প্রোটিন1.3 গ্রাম
চর্বি0.4 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট15.4 গ্রাম
খনিজ পদার্থ0.8 গ্রাম
খাদ্যতন্তু3.1 গ্রাম
ভিটামিন এ16 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন সি2 মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে2 মাইক্রোগ্রাম
পটাশিয়াম235 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম17 মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম35 মিলিগ্রাম
লোহা0.3 মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ0.2 মিলিগ্রাম
তামা0.1 মিলিগ্রাম

দ্রষ্টব্য:

  • উপরে তালিকাভুক্ত পুষ্টি উপাদানগুলি কেবলমাত্র একটি গড় অনুমান। প্রকৃত মানগুলি ডুমুরের জাত, পরিপক্কতা এবং কীভাবে চাষ করা হয় তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ডুমুরের উপকারিতা

ডুমুরের উপকারিতা:

পুষ্টি:

  • ভিটামিন এবং খনিজ: ডুমুর ভিটামিন এ, সি, কে, এবং বি6, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং লোহার একটি ভাল উৎস।
  • ফাইবার: ডুমুর ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা হজম উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং পেটের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি করতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ডুমুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের কারণে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

আরোও পড়ুন

কামরাঙ্গা ফলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ডুমুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • হজম উন্নত: ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতন্তু থাকে যা হজম উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং পেটের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি করতে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডুমুর পটাশিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে: ডুমুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের কারণে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত: ডুমুর ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত: ডুমুর ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডুমুর পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ডুমুর ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডুমুর ফাইবার সমৃদ্ধ, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ রাখতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত: ডুমুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে।

ডুমুরের অপকারিতা:

কিডনি পাথরের ঝুঁকি বৃদ্ধি:

  • ডুমুর অক্সালেট নামক একটি যৌগের উচ্চ উৎস, যা কিডনি পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • যাদের ইতিমধ্যেই কিডনি পাথরের ইতিহাস আছে অথবা কিডনি রোগের ঝুঁকিতে আছে তাদের ডুমুর খাওয়া সীমিত করা উচিত।
ডুমুরের অপকারিতা
ডুমুর

গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য ঝুঁকি:

  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য ডুমুরের নিরাপত্তা সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই।
  • সতর্কতার সাথে খাওয়া ভাল।

অন্যান্য সম্ভাব্য অপকারিতা:

  • কিছু লোকে ডুমুর খাওয়ার পর পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া অনুভব করতে পারে।
  • যারা অ্যালার্জির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের ডুমুর খাওয়ার পর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • ডুমুর সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদে খাওয়া যায়।
  • যদি আপনার কোন উদ্বেগ থাকে, বিশেষ করে যদি আপনার কোন পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য অবস্থা থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
  • সর্বোচ্চ সুবিধা এবং ঝুঁকি কমাতে পরিমিত পরিমাণে ডুমুর উপভোগ করুন।

ডুমুর খাওয়ার নিয়ম:

কিছু সাধারণ নিয়ম:

  • পাকা ডুমুর নির্বাচন করুন: পাকা ডুমুর হলুদ রঙের হবে এবং স্পর্শে নরম হবে।
  • ধুয়ে খান: খাওয়ার আগে ডুমুর ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • ত্বক ছাড়ান: আপনি চাইলে ডুমুরার ত্বক ছাড়িয়ে খেতে পারেন, তবে ত্বকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে।
  • কাঁচা বা রান্না করে খান: ডুমুর কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
  • শুকিয়ে সংরক্ষণ করুন: ডুমুর টুকরো করে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।

কিছু টিপস:

  • আপনার পছন্দ অনুযায়ী ডুমুর উপভোগ করুন।
  • অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার যদি কোন কিডনি রোগ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে ডুমুর খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
খাওয়ার নিয়ম

কিছু জনপ্রিয় ডুমুর রেসিপি:

  • ডুমুর সালাদ: ডুমুর, শসা, টমেটো, পেঁয়াজ এবং আপনার পছন্দের অন্যান্য সবজি দিয়ে তৈরি।
  • ডুমুর স্মুদি: ডুমুর, দই, দুধ, এবং আপনার পছন্দের ফল দিয়ে তৈরি।
  • ডুমুর রস: ডুমুর, চিনি, পানি এবং লেবুর রস দিয়ে তৈরি।
  • শুকনো ডুমুর: ডুমুর টুকরো করে রোদে শুকিয়ে তৈরি।

This article is written with the help of Gemini

error: Content is protected !!