Skip to content
Home » MT Articles » “কিসমিস পুাষ্টির ভান্ডার, প্রতিদিনের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক উপহার।”

“কিসমিস পুাষ্টির ভান্ডার, প্রতিদিনের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক উপহার।”

কিসমিসের পুষ্টিগুণ

কিসমিস

কিসমিস হল আঙ্গুরকে শুকিয়ে তৈরি করা একটি মিষ্টি খাবার। এটি স্বাদে মিষ্টি হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিভিন্ন ধরনের আঙ্গুর থেকে কিসমিস তৈরি করা হয় এবং এর রংও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন: সবুজ, কালো, সোনালি ইত্যাদি।কিসমিসের পুষ্টিগুণ যেমন বেশি, কিসমিসের উপকারিতা ও অসাধারন।

কিসমিসের পুষ্টিগুণ:

পুষ্টি উপাদানপ্রতি 100 গ্রামে
ক্যালোরি295 ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট75 গ্রাম
প্রোটিন3 গ্রাম
ফ্যাট0.5 গ্রাম
ফাইবার6 গ্রাম
পটাশিয়াম670 মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম90 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম65 মিলিগ্রাম
লোহা2 মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে17 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সবিভিন্ন বি ভিটামিন
ভিটামিন এ100 মাইক্রোগ্রাম

কিসমিসের উপকারিতা:

কিসমিস হল আঙ্গুরকে শুকিয়ে তৈরি করা একটি মিষ্টি ও পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে আপনি অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন।

কিসমিসের উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:

  • হজমে সাহায্য করে: কিসমিসে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • হাড় মজবুত করে: ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের উপস্থিতির কারণে ইহা হাড়কে মজবুত করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে: লোহা শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।
  • চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • শক্তি বৃদ্ধি করে: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে মুক্ত র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

আরোও পড়ুন

লটকন ফল কেন এত জনপ্রিয়? জঙ্গলের এই ফলের রহস্য কী?

কিসমিসের অপকারিতা:

কিসমিস হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বা কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা থাকতে পারে।

কিসমিস খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা:

  • দাঁত ক্ষয়: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা দাঁতের ইনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। তাই কিসমিস খাওয়ার পর দাঁত ভালো করে ব্রাশ করা উচিত।
  • ওজন বৃদ্ধি: কিসমিসে ক্যালোরি এবং চিনি প্রচুর পরিমাণে থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিসমিসে থাকা চিনি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তাদের কিসমিস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অ্যালার্জি: কিছু ব্যক্তির কিসমিসের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণ হিসাবে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
  • কিডনি সমস্যা: কিডনির সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের জন্য কিসমিসে থাকা পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হতে পারে। তাই তাদের কিসমিস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম:

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
  • সকালে: খালি পেটে কয়েকটি কিসমিস খাওয়া শরীরকে দিনের শুরুতে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।
  • নাস্তা: দই বা মুসলির সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • রাতে: রাতে ঘুমের আগে কয়েকটি কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলেও উপকার পাবেন।

কীভাবে খাবেন:

  • শুকনো: শুকনো কিসমিস খেতে পারেন।
  • ভিজিয়ে: কিসমিসকে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। ভিজিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ আরও বেশি মাত্রায় শরীরে শোষিত হয়।

অন্যান্য খাবারের সাথে:

  • সলাদে
  • মিষ্টি তৈরিতে
  • দুধের সাথে
  • দইয়ের সাথে
  • মুসলির সাথে

This article is written with the help of Gemini

error: Content is protected !!