Skip to content
Home » MT Articles » আলুর কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। আলু খেলে কি কি উপকার ও অপকার হতে পারে?

আলুর কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। আলু খেলে কি কি উপকার ও অপকার হতে পারে?

আলুর পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

আলু

আলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum। আলু হল Solanum tuberosum উদ্ভিদের একটি শ্বেতসারসমৃদ্ধ কন্দ এবং এটি আমেরিকার স্থানীয় একটি মূল সবজি। উদ্ভিদটি সোলানেসি নামক নাইটশেড পরিবার বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই আলুর অবস্থান।

এটি সোলানেসি পরিবারের অন্তর্গত। আলু একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। তবে সাধারণত এক বছরের জন্য চাষ করা হয়। আলু গাছ 0.5 থেকে 2 মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। গাছের পাতা ডিম্বাকার বা লম্বাটে হয়। ফুল সাদা বা বেগুনি রঙের হয়। ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়। ফলের ভিতরে একাধিক কন্দ থাকে। কন্দই আলুর মূল অংশ।

আলু মূলত একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আলুতে বিদ্যমান শ্বেতসার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস। ভিটামিন ও খনিজ আলুর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আলুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

আলু বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। সেদ্ধ, ভাজা, ভাজি, চচ্চড়ি, তরকারি, স্যুপ, ডাল, মাংস, সবজি ইত্যাদিতে আলু ব্যবহার করা হয়। আলু থেকে চিপস, পকোড়া, আলু ভর্তা, আলু চপ, আলু টিক্কা, আলু কাবাব ইত্যাদি তৈরি করা হয়।

আলুর পুষ্টিগুণ:

পুষ্টি উপাদান প্রতি ১০০ গ্রাম এ:

| শক্তি | ৯৭ কিলোক্যালরি |

| কার্বোহাইড্রেট | ২২.৬ গ্রাম |

| শ্বেতসার | ১৭.২ গ্রাম |

| চিনি | ৩.৭ গ্রাম |

| ফাইবার | ১.৭ গ্রাম |

| প্রোটিন | ১.৬ গ্রাম |

| ভিটামিন সি | ১০ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি৬ | ০.২ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি১ | ০.০৯ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি২ | ০.০৫ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি৩ | ০.৫ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি৫ | ০.২ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন বি৯ | ২২ মাইক্রোগ্রাম |

| ভিটামিন এ | ৪৭ মাইক্রোগ্রাম |

| ভিটামিন ই | ০.০৭ মিলিগ্রাম |

| ভিটামিন কে | ১৭ মাইক্রোগ্রাম |

| পটাসিয়াম | ৪১৫ মিলিগ্রাম |

| ম্যাগনেসিয়াম | ৩২ মিলিগ্রাম |

| ক্যালসিয়াম | ১১ মিলিগ্রাম |

| আয়রন | ০.৪ মিলিগ্রাম |

| ফসফরাস | ৫২ মিলিগ্রাম |

| জিঙ্ক | ০.৩ মিলিগ্রাম |

| কপার | ০.০৪ মিলিগ্রাম |

| সেলেনিয়াম | ১ মাইক্রোগ্রাম |

আলুর উপকারিতা:

আলুর উপকারিতা
আলুর ক্ষেত

শক্তির উৎস:

আলু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির একটি ভালো উৎস। আলুতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার থাকে, যা শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়।

ভিটামিন সি এর উৎস: 

আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

পটাসিয়ামের উৎস: 

আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। পটাসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ম্যাগনেসিয়ামের উৎস: 

আলুতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম পেশী ও স্নায়ু স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরোও পড়ুন

টমেটোর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

ফাইবারের উৎস:

 আলুতে কিছু পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: 

আলুতে অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ক্ষতিকারক মুক্ত র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।

আলুর অপকারিতা:

আলুর অপকারিতা
আলু

আলু একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তবে আলুর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।

আলুর অপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ওজন বৃদ্ধি: আলুতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তির উৎস হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আলু কম খাওয়া উচিত।
  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: আলুতে স্টার্চ বেশি থাকে। স্টার্চ হজম করতে কিছুটা সময় লাগে। তাই গ্যাস্ট্রিক রোগীদের আলু কম খাওয়া উচিত।
  • বিষাক্ততা: আলুর খোসায় থাকে সোলানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ। আলু বেশিদিন সংরক্ষণ করলে বা আলুতে সবুজ দাগ দেখা দিলে সোলানাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। সোলানাইড খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
error: Content is protected !!