তিলের তেল:
তিলের তেল তিল বীজ থেকে নিষ্কাশিত একটি ভোজ্য উদ্ভিজ্জ তেল। এটি প্রাচীনকাল থেকে রান্নার তেল, ম্যাসাজ তেল এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর মৃদু বাদামের গন্ধ এবং স্বাদ রয়েছে।
তিলের তেলের পুষ্টিগুণ:
১০০ গ্রাম তিলের তেলে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান:
- ক্যালোরি: ৮৮৪ কিলোক্যালরি
- ফ্যাট: ১০০ গ্রাম
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট: ১৪.২ গ্রাম
- মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ৩৯.৭ গ্রাম
- পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ৪১.৭ গ্রাম
- ভিটামিন ই: ১.৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে: ০.২ মাইক্রোগ্রাম
- ক্যালসিয়াম: ০.২ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: ০.০ মিলিগ্রাম
- জিঙ্ক: ০.০০ মিলিগ্রাম
অন্যান্য উপাদান:
- সেসামোল
- সেসামিন
- লেসিথিন
তিলের তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
- তিলের তেলে উপস্থিত ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
- এই তেল রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
- তিলের তেল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
- এই তেল ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
- এই তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
- চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
- এই তেল চুলকে মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।
- মানসিক চাপ কমায়:
- এই তেল মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে:
- তিলের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
- এই তেল মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ি ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
- এই তেল হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
আরোও
পেয়ারার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।পেয়ারা কেন খাবেন ?
তিলের তেলের অপকারিতা:

তিলের তেলের অনেক উপকারিতা থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা দেখা দিতে পারে। নিচে তিলের তেলের কিছু অপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- অ্যালার্জি: তিলের তেলে অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট এবং বমি বমি ভাব।
- ওজন বৃদ্ধি: এই তেল ক্যালোরি সমৃদ্ধ, তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে।
- রক্ত পাতলা করা: এই তেল রক্ত পাতলা করতে পারে, তাই রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবনকারী ব্যক্তিদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
- ডায়রিয়া: কিছু লোকের ক্ষেত্রে, এই তেল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া: এই তেল কিছু ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে, তাই আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করেন তবে তিলের তেল ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- ত্বকের সমস্যা: কিছু লোকের ক্ষেত্রে, এই তেল ত্বকে জ্বালা বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।
- নিম্ন রক্তচাপ: এই তেল রক্তচাপ কমাতে পারে, তাই নিম্ন রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
তিলের তেল ব্যবহারের নিয়ম:
- রান্নার তেল: তিলের তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ভাজা, সালাদ ড্রেসিং এবং অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ম্যাসাজ তেল: তিলের তেল ম্যাসাজ তেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- চুলের তেল: তিলের তেল চুলের তেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলকে মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।
- ত্বকের যত্ন: তিলের তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
This article is written with the help of Gemini