Skip to content
Home » MT Articles » গলদা চিংড়ির পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য।

গলদা চিংড়ির পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য।

গলদা চিংড়ি

গলদা চিংড়ি

গলদা চিংড়ি হল একটি বড়, চ্যাপ্টা, কাঁকড়ার মতো। গলদা চিংড়ির শক্ত খোলস এবং দুটি বড়, শক্তিশালী থাবা রয়েছে যা শিকার বা প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহার করে। এগুলি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামুদ্রিক খাবারগুলির মধ্যে একটি।

গলদা চিংড়ি নোনা জলে পাওয়া যায় এবং সাধারণত 30 থেকে 50 সেমি লম্বা হয়। তাদের গায়ের রঙ বাদামী বা লালচে হতে পারে এবং তাদের শরীরে কালো দাগ থাকতে পারে। গলদা চিংড়ি সর্বভুক এবং শেওলা, ছোট মাছ, এবং অন্যান্য প্রাণী খায়।

গলদা চিংড়ি লার্ভা হিসাবে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বড় হয়। তারা প্রায় 5 বছর বয়সে যৌন পরিপক্কতা অর্জন করে এবং প্রায় 50 বছর বাঁচতে পারে।

গলদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য:

  • আকার: গলদা চিংড়ি একটি বড় চিংড়ি। তারা সাধারণত 30 থেকে 50 সেমি লম্বা হয়।
  • খোলস: গলদা চিংড়ির একটি শক্ত খোলস থাকে যা এটিকে শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • থাবা: গলদা চিংড়ির দুটি বড়, শক্তিশালী থাবা থাকে যা এটি শিকার বা প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহার করে।
  • রঙ: গলদা চিংড়ির গায়ের রঙ বাদামী বা লালচে হতে পারে। তাদের শরীরে কালো দাগ থাকতে পারে।
  • খাদ্য: গলদা চিংড়ি সর্বভুক। তারা শেওলা, ছোট মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী খায়।
  • জীবনকাল: গলদা চিংড়ি একটি দীর্ঘজীবী প্রাণী। তারা প্রায় 50 বছর বাঁচতে পারে।
গলদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য

গলদা চিংড়ির পুষ্টিগুণ:

100 গ্রাম গলদা চিংড়িতে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান রয়েছে:

  • প্রোটিন: 22.9 গ্রাম
  • ক্যালোরি: 99
  • চর্বি: 0.5 গ্রাম
  • ক্যার্বোহাইড্রেট: 0 গ্রাম
  • সোডিয়াম: 170 মিলিগ্রাম
  • পটাসিয়াম: 240 মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম: 70 মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস: 270 মিলিগ্রাম
  • আয়রন: 2 মিলিগ্রাম
  • জিঙ্ক: 1.5 মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি12: 2.3 মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন ডি: 2 মাইক্রোগ্রাম

আরোও পড়ুন

তেলাপিয়া মাছের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

গলদা চিংড়ি এর উপকারিতা:

প্রোটিন: গলদা চিংড়ি প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশন 22.9 গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে, যা আপনার দৈনিক প্রোটিন চাহিদার প্রায় 50% পূরণ করতে পারে। প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি এবং মেরামত, হজম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়।

ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড: গলদা চিংড়ি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ক্যালসিয়াম: গলদা চিংড়ি ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশন 70 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে, যা আপনার দৈনিক ক্যালসিয়াম চাহিদার প্রায় 14% পূরণ করতে পারে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

ফসফরাস: গলদা চিংড়ি ফসফরাসের একটি ভাল উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশন 270 মিলিগ্রাম ফসফরাস সরবরাহ করে, যা আপনার দৈনিক ফসফরাস চাহিদার প্রায় 67% পূরণ করতে পারে। ফসফরাস শরীরের সমস্ত কোষের জন্য প্রয়োজনীয়।

আয়রন: গলদা চিংড়ি আয়রনের একটি ভাল উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশন 2 মিলিগ্রাম আয়রন সরবরাহ করে, যা আপনার দৈনিক আয়রন চাহিদার প্রায় 11% পূরণ করতে পারে। আয়রন রক্ত ​​সঞ্চালনের জন্য প্রয়োজনীয়।

জিংক: গলদা চিংড়ি জিঙ্কের একটি ভাল উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশন 1.5 মিলিগ্রাম জিংক সরবরাহ করে, যা আপনার দৈনিক জিংক চাহিদার প্রায় 11% পূরণ করতে পারে। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমের জন্য প্রয়োজনীয়।

গলদা চিংড়ি এর উপকারিতা

গলদা চিংড়ির অপকারিতা:

  • কোলেস্টেরল: গলদা চিংড়িতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশনে 200 মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ডায়েট হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • শক্তি: গলদা চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। প্রতি 100 গ্রাম পরিবেশনে 99 ক্যালোরি থাকে। বেশি ক্যালোরিযুক্ত ডায়েট ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অ্যালার্জি: কিছু লোক গলদা চিংড়িতে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফোলাভাব এবং শ্বাসকষ্ট।
গলদা চিংড়ির অপকারিতা

error: Content is protected !!