Skip to content

General Knowledge (সাধারণ জ্ঞান)

শেখ মুজিবুর রহমান :

জন্ম : মার্চ ১৭, ১৯২০ সাল।

মৃত্যু : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সাল

পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামে পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক। শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি  ইউনিয়নের টুংগীপাড়া  গ্রামে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন।  চার কন্যা  এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া  বেগম, সেজ বোন  হেলেন ও ছোট বোন লাইলি; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসেবে পরিচিত। তার উপাধি বঙ্গবন্ধু। ডাকনাম খোকা, এলাকার মানুষ ডাকতো মিয়া ভাই বলে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কন্যারা হলেন -শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। 

  • বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম -জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
  • মুজিব অর্থ -উত্তরদাতা।
  • তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যায়নকালে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। 
  • ২৩ নম্বর কক্ষটিকে – গ্রন্থাগার এবং ২৪ নম্বর কক্ষটিকে – মিউজিয়ামে রূপান্তর করা হয়েছে। 
  • ২৬ মার্চ, ১৯৭১ এর প্রথম প্রহরে  তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তারপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। 
  • ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। 
  • ১৯৩৪ সালে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার Beri-beri রোগ হয়। 
  • প্রথম কারাবরণ করেন – ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে, ৭ দিন কারাভোগের পরে জামিনে মুক্তি পান। 
  • ১৯৩৬ সালে তার চোখে Glaucoma নামক রোগ হয় ।
  • রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১১ই মার্চ, ১৯৪৮ ধর্ম ঘট পালনকালে তিনি গ্রেপ্তার হন, কিন্তু ছাত্র সমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১৫ মার্চ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। 
  • বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন -আইন বিভাগের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার রয়েছে – ইতিহাস বিভাগে।
  • ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৬ লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনে তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন। 
  • ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ শেখ মুজিবুর রহমান `বাংলাদেশ` নামকরণ করেন। 
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বিশাল গণ সংবর্ধনায় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে `বঙ্গবন্ধু` উপাধিতে ভূষিত করেন ।
  • ৩ মার্চ, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বলে জনক বলে আখ্যা দেন – আ.স.ম আব্দুর রব। 
  • ৭ মার্চ, ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দানে জনসভায় তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন এবং ঘোষণা করেন – এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। 
  • ঐতিহাসিক ছয় দফা বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন ২৩ মার্চ, ১৯৬৬।
  • ছয় দফা দিবস – ৭ জুন ।
  • বঙ্গবন্ধু ছয় দফা কে আখ্যায়িত করেন – “আমাদের বাঁচার দাবি “বলে।
  • ঐতিহাসিক ছয় দফা কে তুলনা করা হয় – ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের দলীল ম্যাগনাকার্টার সাথে। 
  • বঙ্গবন্ধুর কোটের ছয়টি বোতাম ছিল – ছয় দফার প্রতীক। 
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় – ৩ জানুয়ারি,১৯৬৮ এবং প্রত্যাহার করা হয় – ২২ ফেব্রুয়ারি,১৯৬৯। 
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আসামি করা হয় ৩৫ জনকে, প্রধান আসামি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
  • পাকিস্তানি শাসকবৃন্দ শেখ মুজিবকে – ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই জানুয়ারি মুক্তি দেয়, তিনি – ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বাংলাদেশে ফিরে আসেন। 
  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্ম নিয়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরী নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম – পলাশী থেকে ধানমন্ডি। 
  • ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মোট ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। 
  • ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ ছিল – ১৩৮২ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ এবং ১৩৯৫ হিজরির ৮ শাবান। 
  • ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ ছিল শুক্রবার। 
  • বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয় – ১৫ই আগস্ট। 
  • শান্তিতে অবদানের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন – জুলিও কুরি পদক। 
  • ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের, ১৫ মে তাকে কৃষি ও বন  মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। 
  • ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেন। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ UNESCO  ৭ই মার্চের ভাষণকে Memory of the World (ঐতিহাসিক দলিল) হিসেবে ঘোষণা দেন। UNESCO স্বীকৃত মোট ৭৮ টি দলিলের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ৪৮ নম্বর এ রয়েছে। ভাষন শুরু হয় বিকাল ৩টায়, স্থায়িত্বকাল – ১৮মিনিট, শব্দ সংখ্যা ১১০৮টি। চার দফা দাবি প্রকাশ করেন। 
  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস – ১০ই জানুয়ারি।
  • মুজিব শত বর্ষের লোগোটির ডিজাইনার – সাব্যসাচী হাজরা। 
  • মুজিব বর্ষ  বৈশ্বিকভাবে পালিত হবে – ১৯৩ টি দেশে। 
  • বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন – ১ মার্চ ১৯৬৬ সালে।
  • বঙ্গবন্ধু কারাবরণ করেন – মোট ৪৬৮২ দিন (উৎস.জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী ৭ই মার্চ ২০১৭)।
  • ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন।
  • ১১ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ তাকে আটক করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ।
  • ২০১০ খ্রিস্টাব্দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার হৃত ছাত্রত্ব তো ফিরিয়ে দেয়।  
  • ১০মার্চ, ১৯৫৪ সাধারণ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ আসনে মুসলিম লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামানকে ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
  • ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের, ৫ই জুন তিনি – আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন।
  • তিনি গণপরিষদ কে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন এবং চারটি মূলনীতি হিসেবে – জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র ঘোষণা করেন।
  • ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন সরকার গঠন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত কয়েকটি গ্রন্থ :

গ্রন্থের নাম রচয়িতা 
  অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, নয়া চীন ভ্রমণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 

শেখ হাসিনা রচিত কয়েকটি গ্রন্থ :

গ্রন্থের নাম রচয়িতা 
শেখ মুজিব আমার পিতা, ওরা টোকাই  কেন?, সহেনা মানবতার অবমাননা শেখ হাসিনা 
  • জাতিসংঘের ৭৪ তম অধিবেশনে যোগদান সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্যাদা সম্পন্ন দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন :
    • (১) বাংলাদেশের শিশুদের টিকা দান কর্মসূচিতে সাফল্যের জন্য Global Alliance for vaccines and immunization (GAVI) কর্তৃক  `ভ্যাকসিন হিরো` সম্মাননা।
    • (২)বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ – Champion of skill development for youth award.

অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের রচয়িতা – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় জুন, ২০১২ সালে।প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি প্রেস লি.।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীর  ইংরেজি শিরোনাম –The Unfinished Memoirs.
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি শিরোনাম ইংরেজিতে অনুবাদ করেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। 
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভূমিকা লেখেন – শেখ হাসিনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন – শেখ রেহেনা।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটির কপিরাইট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ২০১২।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীর গ্রন্থের প্রচ্ছদ অংকন করেন – সমর মজুমদার।
  • বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে।
  • ৫৫ বছরের জীবন কালে বঙ্গবন্ধু – ৪৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন (সংসদে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী)।
  • বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িটি বন্ধ করে রাখা হয় ১৫ আগস্ট ,১৯৭৫ এর পর থেকে। সাত্তার সরকার বাড়িটি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয় ১২ জুন, ১৯৮১ সালে।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু আত্মজীবনে লিখেছেন – ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত। 
  • তিনি আত্মজীবনী রচনা করেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দী থাকাকালীন অবস্থায়।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনী আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন – আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নাভী, চীনা ভাষায় – চাই সি এবং জাপানি ভাষা – কাজুহিরো ওয়াতানাবে।
  • বঙ্গবন্ধুর নামে সর্বপ্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় – ১৯৩৮ সালে।
  • বঙ্গবন্ধু মেট্রিক পাশ করেন ১৯৪১ সালে (দ্বিতীয় বিভাগে )।
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনীর তথ্য অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানি ঘটে ১০ লক্ষ লোকের। 
  • অসমাপ্ত আত্মজীবনী বঙ্গবন্ধুর লেখা – চারটি খাতার সংকলন।
  • বঙ্গবন্ধু যে দৈনিক কাগজের পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন –ইত্তেহাদ।
  • পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধুকে প্রথম জেলে ঢোকানো হয় ১১ই মার্চ, ১৯৪৮ সালে এবং মুক্তি পান ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ সালে।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • ঢাকা জেলে বঙ্গবন্ধু কাজ করতেন – সুতা কাটার।

কারাগারে রোজনামচা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • কারাগারের রোজনামচা প্রকাশিত হয় – ফাল্গুন ১৪২৩ /মার্চ, ২০১৭ । প্রকাশ করে – বাংলা একাডেমি। প্রকাশক ড. জালাল আহমেদ।
  • কারাগারে রোজনামচা গ্রন্থটির ইংরেজি শিরোনাম – Prison Diary of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman.
  • কারাগারে রোজনামচা গ্রন্থের প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ নকশা করেন- তারিক সুজাত। 
  • কারাগারে রোজনামচা গ্রন্থের ভূমিকা লেখেন – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • কারাগারে রোজনামচা বইটির নাম রাখেন – শেখ রেহেনা।
  • বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন – ১মার্চ, ১৯৬৬ সালে।
  • কারাগারে রোজনামচা গ্রন্থটির মূল উৎস – বঙ্গবন্ধু লেখা ডায়েরি (১৯৬৬-১৯৬৮)।
  • ১৯৬০ সালে জেলখানায় বসে বঙ্গবন্ধু লেখেন -দুইটি খাতা। যার মধ্য একটি খাতার শিরোনাম ছিল – থালা বাটি কম্বল, জেলখানার সম্বল।( পরবর্তীতে স্পেশাল ব্রাঞ্চ খাতাটি খুঁজে বের করেন )। 
  • ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু সহ আরো কয়েকজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল ঢাকা জেলখানার – ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। 
  • জেলখানায় বঙ্গবন্ধু যে ওয়ার্ডে থাকতেন তার নাম – সিভিল ওয়ার্ল্ড।
  • ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান – ১৭ জানুয়ারি। 
  • বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতারের পর রাখা হয় – সেনাবাহিনীর ১৪ ডিভিশন হেডকোয়ার্টার এর অফিসার মেসের ১০ নম্বর কক্ষে ।
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় -আর্মি, নেভি  ও এয়ার ফোর্স আইনে।

নয়া চীন ভ্রমণ” সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • এটি বঙ্গবন্ধু লেখা তৃতীয় গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের উপর যে ডায়েরী লিখেছেন তারই গ্রন্থরূপ  নয়া চীন ভ্রমণ। এটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। ইংরেজি অনুবাদ করেন, অধ্যাপক ফখরুল আলম আর গ্রন্থের ভূমিকা লিখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ প্রথম প্রকাশিত হয়। স্মৃতি নির্ভর ও ভ্রমণ কাহিনী তিনি রচনা করেন ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দী থাকাকালে। 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রথম স্থাপিত হয় – চট্টগ্রামের কালুরঘাটে।
  • মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে – ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, গাজীপুর, ১৯ মার্চ ১৯৭১। 
  • স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য বীরত্বসূচক পদক দেওয়া হয় ৬৭৭ জনকে এর মধ্যে – বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীর উত্তম ৬৯ জন (সবশেষে-ব্রিগেডিয়ার – জামিল), বীর বিক্রম ১৭৫ জন ও বীর প্রতীক ৪২৬ জন। 
  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা – যশোর,৬ ডিসেম্বর ১৯৭১।
  • মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয় – রেসকোর্স ময়দানে।
  • ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা সন ও বার ছিল -১৩৭৮ সন ও বৃহস্পতিবার।
  • বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১।
  • বাংলাদেশের বিজয় দিবস – ১৬ ডিসেম্বর। 
  • স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বঙ্গভবনে আসেন – ইন্দিরা গান্ধী (ভারত)। 
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি বলে আখ্যা দেয় – বিখ্যাত ম্যাগাজিন নিউজ উইকস।
  • রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ প্রথম গঠিত হয় – ১৯৪৭ সালে।
  • দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় ১৯৪৮ সালে। আহ্বায়ক ছিলেন শামসুল আলম।
  • ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছিল – বৃহস্পতিবার ৮ই ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ।
  • ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন “একুশে ফেব্রুয়ারি “গ্রন্থের সম্পাদক – হাসান হাফিজুর রহমান।
  • আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির গীতিকার –আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং সুরকার -আলতাফ মাহমুদ,( প্রথম সুরকার-আব্দুল লতিফ)। 
  • বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছে –সিয়ারালিয়নে।
  • আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় – ৩মার্চ, ১৯৭১।
  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার – শিল্পী কামরুল হাসান। 
  • ৭ মার্চের ভাষণের  দফা চারটি ছিল -সামরিক আইন প্রত্যাহার, সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, গণহত্যার তদন্ত করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। ৭মার্চের ভাষণের শেষ কথা ছিল -জয় বাংলা। 
  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ২৫ মার্চ, রাত্রি ১২ টার পর  অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ্
  • স্বাধীনতার ঘোষক -জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাটি বিবিসির প্রভাতী অধিবেশনে প্রচারিত হয় – ২৬ মার্চ। 
  • ২৬ মার্চ ১৯৭১ -এ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা জারি করেন -ওয়ারলেসের  মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর জারি করা মূল ঘোষণাটি ছিল -ইংরেজিতে। ঘোষণাটি বাংলায় অনুবাদ করেন ড. মনজুলা আনোয়ার। 
  • বাংলাদেশের জাতীয় দিবস /স্বাধীনতা দিবস – ২৬ শে মার্চ ।
  • ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়- ১৯৮০ সালে।
  • আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র জারি করা হয় – ১০ এপ্রিল ১৯৭১।এদিনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। 
  • বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন -৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাসা থেকে ;শুধু ৩২ নম্বর উল্লেখ করলে যে বিখ্যাত বাড়িটি কে বোঝায় তা হল – ধানমন্ডি, ঢাকার শেষ সময়কার ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাসভবন। 
  • গণহত্যা দিবস – ২৫ মার্চ, প্রথম পালিত হয় ২০১৭ সালে।
  • শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানে বন্দী করে রাখা হয় – করাচির লায়ালপুরের মিয়ানওয়ালি জেলখানায়। 
  • বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় – মুজিব-নগরে। মুজিবনগর অবস্থিত মেহেরপুরে। 
  • বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল,অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১।
  • মুজিবনগর দিবস পালিত হয় – ১৭ এপ্রিল ।
  • মেহেরপুরের ভবের পাড়া বৈদ্যনাথতলার মুজিবনগর নামকরণ করেন – তাজউদ্দিন আহমেদ।
  • মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিবালায় ছিল -৮ থিয়েটার রোড কলকাতা।
  • বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। 
  • তানভীর কবির স্থপিত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের ২৩ টি ত্রিভুজাকৃতির দেওয়াল -বাঙালির ২৩ বছরের (১৯৪৭-১৯৭১) শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস বহন করে। 
  • মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশকে ভাগ করা হয় ১১ টি সেক্টরে। ১১ টি সেক্টরের মধ্য ১০ নম্বর সেক্টর ছিল- নৌ সেক্টর ( নিয়মিত কমান্ডার ছিল না)। 
  • মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাংলাদেশকে ভাগ করা হয় – ৬৪ টি সাব সেক্টরে। 
  • মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নৌ কমান্ডারদের অভিযানের নাম- অপারেশন জ্যাকপট।
  • বুদ্ধিজীবী দিবস- ১৪ ডিসেম্বর। 
  • পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ৯১, ৬৩৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য  নিয়ে। 
  • বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর নামে সড়ক আছে রাজশাহীতে।
  •  রউফ  নগর অবস্থিত -মধুখালী ফরিদপুর। 
  • বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের দেহাবশেষ আনা হয়েছে – পাকিস্তান থেকে (২৫ জুন ২০০৬ সালে )।
  • সিপাহী হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ  আনা হয়েছে – ভারত থেকে (১১ ডিসেম্বর ২০০৭ সালে)। তিনি হলেন সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ। 
  • বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্য সর্বপ্রথম নিহত হন – মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল্ (১৮ এপ্রিল, ১৯৭১)।
  • বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যেও সর্বশেষে নিহত হন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১)
  • বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জীবন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম – অস্তিত্বে আমার দেশ। 
  • বীরপ্রতীক  খেতাবপ্রাপ্ত দুইজন মহিলা  মুক্তিযোদ্ধা – তাঁরামন বিবি (কুড়িগ্রাম) ও সেতারা বেগম (কিশোরগঞ্জ )।
  • সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা – শহিদুল ইসলাম (বীর প্রতীক )।
  • বিদেশি খেতাবপ্রাপ্ত (বীর প্রতীক) মুক্তিযোদ্ধা” ডব্লিউ এইচ ওর্ডারল্যান্ড “জন্ম -নেদারল্যান্ড, (নাগরিক-অস্ট্রেলিয়ার)।
  • একমাত্র আদিবাসী খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা – ইউকে চিং (বীরবিক্রম)।  
  • তারামন বিবি  মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন – ১১ নম্বর সেক্টরের (ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল)। ডাক্তার সেতারা বেগম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ২নম্বর সেক্টরের। তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলেও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ব্যাপক অবদান রাখেন। 
  • মুক্তি বেটি নামে পরিচিত নারী মুক্তিযোদ্ধা -কাঁকন বিবি। 
  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন – জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে। 
  • অপারেশন সার্চলাইট :পাক হানাদার  বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশিদের উপর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। 

বীরশ্রেষ্ঠ সাতজনের নাম ও পরিচিতি :

  • ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ।
  • ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ।
  • ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
  • ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার  রুহুল আমিন।
  • সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
  • সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
  • ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান।

এক নজরে বীরশ্রেষ্ঠ পরিচিতি :

নাম কর্মস্থল পদবি নিজ জেলা মৃত্যু স্থান সমাধি স্থল 
মোস্তফা কামাল 
(১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭-১৮ এপ্রিল ১৯৭১)
সেনাবাহিনী সিপাহি ভোলা আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
হামিদুর রহমান 
(২ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৩-২৮ আক্টোবর ১৯৭১)
সেনাবাহিনী সিপাহী ঝিনাইদহকমলগঞ্জ মৌলভীবাজার মিরপুর 
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
(৭ মার্চ ১৯৪৯-১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) 
সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন বরিশাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ 
নূর মোহাম্মদ শেখ 
(২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৬-৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
ইপিআর ল্যান্স নায়েক নড়াইল যশোর যশোর 
মুন্সি আব্দুর রউফ
(৮ মে ১৯৪৩-২০ এপ্রিল ১৯৭১) 
ইপিআর ল্যান্স নায়েক ফরিদপুর রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম 
মতিউর রহমান
(২৯ নভেম্বর ১৯৪৫- ২০ আগষ্ট ১৯৭১) 
বিমান বাহিনী ফ্লাইট  ল্যাফটেন্যান্ট নরসিংদী পাকিস্তান মিরপুর 
রুহুল আমিন
(জুন ১৯৩৫-১০ ডিসেম্বর ১৯৭১)  
নৌ-বাহিনী ইঞ্জিনিয়ার নোয়াখালী শিপইয়াড,খুলনা খেতাবি কবর নেই 

বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জনের মধ্যে-

সেনাবাহিনী থেকে ৩ জন

ইপিআর থেকে ২ জন

বিমান বাহিনী থেকে ১ জন

নৌ-বাহিনী থেকে ১ জন

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস ও পালনের তারিখ :

দিবস তারিখ 
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ৪ ফেব্রুয়ারি 
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি 
বিশ্ব Dentrist  দিবস ৬ মার্চ
বিশ্ব কিডনি দিবস ১২ মার্চ 
বিশ্ব পানি দিবস ২২ মার্চ 
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২৩ মার্চ
বিশ্ব যক্ষা দিবস ২৪ মার্চ 
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ৭ এপ্রিল 
International Biomedical Laboratory Science Day ১৫ এপ্রিল 
বিশ্ব ধারিত্রী দিবস ২২ এপ্রিল 
বিশ্ব এ্যাজমা দিবস ৫ মে 
বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস ৮ মে 
বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ১৭ মে
বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ৩১ মে 
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ৫ জুন 
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই 
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস ৮ সেপ্টেম্বর 
বিশ্ব হার্ট দিবস ২৪ সেপ্টেম্বর 
The World Mental Health Day ১০ অক্টোবর 
The World Arthritis Day১২ অক্টোবর 
দিবস তারিখ 
The World Osteoporosis Day২০ অক্টোবর 
বিশ্ব রেডিওথেরাপি দিবস ৮ নভেম্বর 
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ১৪ নভেম্বর 
বিশ্ব এইডস দিবস ১ ডিসেম্বর 
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ৩ ডিসেম্বর 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বর 
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই 
বিশ্ব শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর 
বিশ্ব শান্তি দিবস ২১ সেপ্টেম্বর 
বিশ্ব খাদ্য দিবস ১৬ অক্টোবর 
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ৯ ডিসেম্বর 
বিশ্ব আদিবাসী দিবস ৯ আগস্ট 

বাংলাদেশের অন্যান্য জাতীয় দিবস :

তারিখ দিবস 
১ জানুয়ারি জাতীয় গ্রন্থ দিবস 
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস 
২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস 
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস(আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস )
২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস 
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস / শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন 
২৫ মার্চ কাল রাত দিবস 
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস (জাতীয় দিবস )
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস 
২৩ জুন পলাশী দিবস 
২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা দিবস 
১০ জুলাই VAT দিবস 
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস 
১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস 
৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস 
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস 
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস 
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস 
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস 
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস 

নতুন ও পুরাতন  নাম :

বর্তমান নাম পুরাতন নাম 
ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর / ঢাবেক্কা / ঢাক্কা  
চট্টগ্রাম ইসলামাবাদ
সিলেট জালালাবাদ / শ্রীহট্ট 
বরিশাল চন্দ্রদ্বীপ / বাকলা / ইসমাইলপুর 
রাজশাহী রামপুর বোয়ালিয়া 
নোয়াখালী সুধারাম /ভুলুয়া 
কুমিল্লা ত্রিপুরা 
ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ 
জামালপুর সিংহজানী
উত্তরবঙ্গ বরেন্দ্রভূমি 
কক্সবাজার ফালকিং 
কুষ্টিয়া নদীয়া 
ফেনী শমসের নগর 
বাগেরহাট খলিফাবাদ 
যশোর খলিফাতাবাদ 
গাইবান্ধা ভবানীগঞ্জ 
সাতক্ষীরা সাতঘরিয়া 
গাজীপুর জয়দেবপুর 
শাহবাগ বাগ-ই-শাহেন শাহ 
বর্তমান নাম  পুরাতন নাম 
দিনাজপুর গন্ডোয়ানাল্যান্ড 
খুলনা জাহানাবাদ 
ফরিদপুর ফাতেহাবাদ 
রাঙ্গামাটি হরিকেল 
মহাস্থানগড় পুন্ড্রনগর
সোনারগাঁও সুবর্ণগ্রাম 
ময়নামতি রোহিতগিরি
বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান/ বাঙালা / বঙ্গ -দ্রাবিঢ় 
মুজিবনগর বৈদ্যনাথতলা 
বাংলা একাডেমি বর্ধমান হাউস 
নিঝুম  দ্বীপ বাউলার চর 

মেট্রোরেল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • রুট : উত্তরা থেকে পল্লবী হয়ে মতিঝিল। মোট সময় লাগবে – ৩৭ মিনিট। মোট দৈর্ঘ্য – ২০.১০ কিলোমিটার। বাস্তবায়ন : Mass Rapid Transit । সহায়তা : জাইকা, জাপান । মোট প্রকল্প ব্যয় : ২২ হাজার কোটি টাকা । ৭ এপ্রিল ২০১৮ ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় ২২ নম্বর এবং ২৩ নম্বর পিয়ারে  যুক্ত হয় মেট্রোলের প্রথম স্প্যান। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ রেলপথে ৭৭০ টি স্প্যান বসবে। পুরো প্রকল্প এলাকায় স্টেশন থাকবে ১৬ টি। মেট্রোরেলের (প্রথম অংশ ) উদ্বোধন করেন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা – ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ (১৩ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ)। তবে সর্বসাধারণের জন্য চালু হয় – ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে। 

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

  • দৈর্ঘ্য : ৬.১৫ কিলোমিটার (দ্বিতল বিশিষ্ট ) । সংযোগসহ দৈর্ঘ্য – ৯.৪০কিলোমিটার। পিলার সংখ্যা – ৪২ টি ,স্প্যান সংখ্যা – ৪১ টি । দুই প্রান্ত : মাওয়া (মুন্সিগঞ্জ ) ও জাজিরা (শরীয়তপুর )। অবস্থান – ৩ টি জেলার উপর মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ।মূল সেতুর  কাজের দায়িত্ব : চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ।নদী শাসন – সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড ।মোট প্রকল্প ব্যয় : ২৯ হাজার কোটি টাকা । অর্থায়ন – বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ প্রথম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের উপর বসানো হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল – ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর। আর উদ্বোধন করা হয় – ২০২২ সালের ২৫ জুন। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৬ শে জুন ২০২২।

খেলাধুলা :

  • বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)  প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৮৬ সালে ( সাভারে জিরানীতে অবস্থিত )।
  • বাংলাদেশের জাতীয় খেলা – কাবাডি ( হা-ডু-ডু )।
  • বাংলাদেশ  বিশ্ব অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করে – ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০।
  • বাংলাদেশ  বিশ্ব অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে আসছে – ১৯৮৪ সাল থেকে (২৩ তম অলিম্পিকে, লস এঞ্জেলসে )।
  • বাংলাদেশ  কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করে – ১৯৭৮ সালে। 
  • বাংলাদেশ  ওয়ানডে স্ট্যাটাস লাভ করে – ১৫ জুন, ১৯৯৭ সালে।
  • বাংলাদেশ  টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে  – ২৬ জুন ২০০০ সালে।
  • বাংলাদেশ বিশ্বের দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ। 
  • বিশ্বকাপ ক্রিকেটে  বাংলাদেশ প্রথম জয়লাভ করে – স্কটলা্ন্ড দলের বিরুদ্ধে।
  • বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয় – ১৭ই মে ১৯৯৯ (নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে)।
  • অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ যে দলের  বিপক্ষে খেলে – ভারতের। 
  • বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন – শামীম কবির।
  • বাংলাদেশ  আইসিসি কাপে  চ্যাম্পিয়ন হয়  – ষষ্ঠ আসরে (মালয়েশিয়ায়) ১৯৯৭ সালে।
  • একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রথম পরাজিত করে – কেনিয়াকে  ১৬ মে ১৯৯৮।
  • বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অভিষেক হয়  : ১০-১৪ নভেম্বর ২০০০ (ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, ভারতের বিপক্ষে)।
  • অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন – নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
  • বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন – শামীম কবির।
  • বাংলাদেশ প্রথম যে দেশকে পরাজিত করে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ জয় লাভ করে – জিম্বাবুয়ে।
  • বাংলাদেশের যে ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিক  অর্জন করেন – অলোক কাপালি (২০০৩ সালে);  পাকিস্তানের বিপক্ষে।
  • বাংলাদেশের যে ক্রিকেটার  ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিক অর্জন করে – শাহাদাত হোসেন রাজিব (২০০৬ সালে); জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
  • প্রথম আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন – গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
  • বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম যে দেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে – নিউজিল্যান্ডের।
  • বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট টেস্ট দলের অধিনায়ক – নাইমুর রহমান দুর্জয়।
  • বাংলাদেশের ফুটবলে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় – যাদুকর সামাদ।
  •  বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাঁতারু – ব্রজেন দাস। 
  • ইংলিশ চানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় সাঁতারু – বাংলাদেশের ব্রজেন দাস (১৯৫৮ সালে)।
  • বাংলাদেশ  ফিফার সদস্যপদ লাভ করে –  ১ জানুয়ারি, ১৯৭৬।
  • বাংলাদেশ ICC ট্রফিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে – ১৯৭৯ সালে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য :

  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সরকারিভাবে গৃহীত হয় – ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।
  • বাংলাদেশের প্রথম পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায়  উত্তোলন করা হয় – ২ মার্চ ১৯৭১।
  • বাংলাদেশের পতাকা জাতীয় সংগীত গাওয়ার সাথে সাথে প্রথম উত্তোলন করা হয় – ৩ মার্চ,১৯৭১; বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতে।
  • বাংলাদেশের বাইরে সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা  উত্তোলন করেন – এম.হোসেন আলী,কলকাতায় (১৮ এপ্রিল ১৯৭১)।
  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার -শিল্পী কামরুল হাসান। 
  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস – ২ মার্চ।
  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত : ১০ : ৬ (৫ : ৩)।
  • বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্ণ – ৪ ভাগ গাড় সবুজ ও এর মাঝে ১ ভাগ লাল বৃত্ত।
  • বিশ্বের যে দেশের জাতীয় পতাকার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মিল রয়েছে – জাপান ও পালাউ।
  • বাংলাদেশের মানচিত্র প্রথম যে আঁকেন – মেজর জেমস রেনেল।
error: Content is protected !!