ফলি মাছ
ফলি মাছ বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিলের একটি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় মাছ। এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Notopterus notopterus এবং এটি Notopteridae গোত্রের একমাত্র সদস্য।
ফলি মাছের বৈশিষ্ট্য:
- আকৃতি: লম্বা ও চ্যাপ্টা, পিঠের দিক কালো ও পেটের দিক সাদাটে।
- আকার: সাধারণত ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
- স্বভাব: মাংসাশী এবং রাক্ষুসে স্বভাবের।
- বাসস্থান: নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর ইত্যাদি।
- খাদ্য: অন্যান্য ছোট মাছ, পোকামাকড় ইত্যাদি।
ফলি মাছের পুষ্টিগুণ:
পুষ্টি উপাদান | প্রতি 100 গ্রামে |
---|---|
ক্যালোরি | 100-120 ক্যালোরি |
প্রোটিন | 20-25 গ্রাম |
চর্বি | 2-5 গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | নগণ্য |
ক্যালসিয়াম | 100 মিলিগ্রাম |
আয়রন | 1-2 মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | 400-500 মিলিগ্রাম |
ফলি মাছের উপকারিতা:
- প্রোটিনের ভাল উৎস: ফলি মাছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ফলি মাছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: ফলি মাছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ফলি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- রক্ত স্বল্পতা দূর করে: ফলি মাছে আয়রন থাকে, যা রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- শরীরে শক্তি যোগায়: ফলি মাছে কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায়।
অন্যান্য উপকারিতা:
- পেশি গঠনে সহায়তা করে: ফলি মাছে থাকা প্রোটিন পেশি গঠনে সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ফলি মাছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: ফলি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ফলি মাছ এর অপকারিতা:
ফলি মাছ খাওয়ার সম্ভাব্য কিছু অপকারিতা:
- কাঁটা: ফলি মাছে অনেক কাঁটা থাকে। খাওয়ার সময় যদি সাবধান না করা হয় তাহলে কাঁটা গলায় আটকে যেতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
- পারদ: কিছু সমুদ্রের মাছের মতো ফলি মাছেও পারদ থাকার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত পারদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- অ্যালার্জি: খুব কম ক্ষেত্রে কারোর ফলি মাছের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণ হিসেবে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
- পরিবেশ দূষণ: যদি ফলি মাছ দূষিত পানিতে জন্মায় তাহলে তাতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
THIS ARTICLE IS WRITTEN WITH THE HELP OF GEMINI