কাঁকড়া
কাঁকড়া হল একটি ক্রাস্টাসিয়ান (Crustacean)। কাঁকড়া আসলে মাছ নয়। এরা আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি প্রাণী। এদের শরীর একটি পুরু বহিঃকঙ্কালে আবৃত থাকে এবং এদের এক জোড়া দাঁড়া ও দশটি পা থাকে।
কাঁকড়ার বৈশিষ্ট্য:
- প্রজাতির সংখ্যা: পৃথিবীতে কাঁকড়ার প্রায় ৬,৭৯৩টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
- বাসস্থান: কাঁকড়া সাগর, মিঠা পানি এবং স্থলবাসী— বিভিন্ন পরিবেশে বাস করে।
- আকার: কাঁকড়ার আকার খুব ছোট থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে।
- খাদ্য: এটি সর্বভুক, অর্থাৎ এরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খায়, যেমন পলি, শামুক, ঝিনুক, মাছ ইত্যাদি।
কাঁকড়া এবং মাছের মধ্যে পার্থক্য কী?
- শ্রেণিবিন্যাস: কাঁকড়া এবং মাছ দুটি ভিন্ন শ্রেণির প্রাণী।
- শ্বাস: কাঁকড়া সাধারণত গিল ব্যবহার করে শ্বাস নেয়, অন্যদিকে মাছ গিল এবং মাছের ফুলকা ব্যবহার করে শ্বাস নেয়।
- শরীরের গঠন: কাঁকড়ার শরীরের গঠন মাছের থেকে আলাদা। কাঁকড়ার একটি শক্ত খোলস থাকে, যা মাছের থাকে না।
আরোও পড়ুন
ঢেলা মাছ : স্বাদুপানির সুস্বাদু এই মাছটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
কাঁকড়ার পুষ্টিগুণ:
- প্রোটিন: প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকড়ার মাংসে প্রায় ১৭-১৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
- ক্যালোরি: প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকড়ার মাংসে প্রায় ৯০-১১০ ক্যালোরি থাকে।
- কোলেস্টেরল: প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকড়ার মাংসে প্রায় ৪০-৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড: কাঁকড়ায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: কাঁকড়ায় ভিটামিন বি১২, জিংক, সেলেনিয়াম এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

কাঁকড়ার উপকারিতা:
এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এটি একটি দুর্দান্ত প্রোটিনের উৎস, যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামত করতে সাহায্য করে। আসুন কাঁকড়া খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
- প্রোটিনের ভান্ডার: কাঁকড়ার মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: কাঁকড়ায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: কাঁকড়ায় ভিটামিন বি১২, জিংক, সেলেনিয়াম এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: কাঁকড়ায় উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- হাড়কে শক্তিশালী করে: কাঁকড়ায় থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁকড়ায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজমে সহায়তা করে: কাঁকড়ার মাংস সহজে হজম হয়, তাই এটি অনেকের জন্যই একটি ভালো খাবার।
- ওজন কমানোর জন্য উপকারী: এটি কম ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার, তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন লোকদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।

কাঁকড়া খাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
- অ্যালার্জি: কিছু লোকের কাঁকড়ার প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। তাই যদি আপনার কাঁকড়ার প্রতি কোন অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- পরিবেশ: এটি সাধারণত দূষিত পানিতে থাকে, তাই এটি খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি।
- পরিমাণ: যদিও কাঁকড়া পুষ্টিকর, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁকড়া খাওয়া উচিত নয়।
This article is written with the help of Gemini