Skip to content
Home » MT Articles » তিল ও তিলের তেল: ত্বক ও চুলের প্রাকৃতিক পরিচর্যাকারী।

তিল ও তিলের তেল: ত্বক ও চুলের প্রাকৃতিক পরিচর্যাকারী।

তিল

তিল

তিল একটি ছোট্ট বীজ যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি প্রাচীনকাল থেকেই খাবার ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিলের তেল, তিলের লাড্ডু, তিলের চাটনি – এই সবই আমাদের পরিচিত। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই তিল চাষ হয় এবং বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়।

তিলের পুষ্টিগুণ:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ (প্রতি ১০০ গ্রামে)
ক্যালোরি৫৫২ কিলোক্যালরি
চর্বি৪৯ গ্রাম
প্রোটিন২০ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট১৫ গ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার৯ গ্রাম
চিনি১ গ্রাম
পানি৫ গ্রাম

তিল এর উপকারিতা:

তিলের গাছ
তিল গাছ
  • হাড় মজবুত করে: তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: তিলে ভাল চর্বি থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তিলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: তিলে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক থাকে যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: তিলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে: তিলে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: তিলে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকায় এটি পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

আরোও পড়ুন

“কিসমিস পুাষ্টির ভান্ডার, প্রতিদিনের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক উপহার।”

তিলের তেলের ব্যবহার:

তিলের তেল শুধু রান্নাঘরেই নয়, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। আসুন জেনে নিই তিলের তেলের বিভিন্ন ব্যবহার:

রান্নাঘরে:
  • ভাজাভুজি: তিলের তেল উচ্চ তাপমাত্রায় ধোঁয়া ছাড়া ভাজার জন্য উপযুক্ত। এটি খাবারে একটি সুস্বাদু গন্ধ ও স্বাদ যোগ করে।
  • সালাদ ড্রেসিং: তিলের তেল সালাদে একটি সুস্বাদু স্পর্শ যোগ করে। এটি ভিটামিন ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।
  • রোস্ট করা: মাংস, মাছ বা শাকসবজি রোস্ট করার সময় তিলের তেল ব্যবহার করে আপনি একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে পারেন।
তিরলর উপকারিতা
স্বাস্থ্যের জন্য:
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ: তিলের তেলে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: তিলের তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য: তিলের তেল পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • যৌন স্বাস্থ্য: তিলের তেল পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
সৌন্দর্যের জন্য:
  • চুলের যত্ন: তিলের তেল চুলের মূলকে শক্তিশালী করে, চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে।
  • ত্বকের যত্ন: তিলের তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করে।
  • ম্যাসাজ তেল: তিলের তেল ম্যাসাজের জন্য একটি চমৎকার তেল। এটি শরীরকে শিথিল করে এবং পেশী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

This article is written with the help of Gemini

error: Content is protected !!