Skip to content
Home » MT Articles » হলুদের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

হলুদের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

হলুদের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

হলুদ

হলুদ হল একটি মসলা যা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সুস্বাদের জন্য পরিচিত। এটি আদা পরিবারের অন্তর্গত একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। হলুদ গাছের শিকড় থেকে প্রাপ্ত হয়, যা শুকানো এবং গুঁড়া করা হয়।হলুদ একটি পুষ্টিকর মসলা যা ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভাল উৎস। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কুর্কিউমিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলির জন্য দায়ী।

হলুদের পুষ্টিগুণ:

হলুদ একটি পুষ্টিকর মসলা যা ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভাল উৎস। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কুর্কিউমিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলির জন্য দায়ী।

হলুদের পুষ্টি উপাদান পরিমাণ নিম্নরূপ:

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
কারকিউমিন3.17%
ভিটামিন সি10.7 মিলিগ্রাম (13% RDA)
ভিটামিন বি60.2 মিলিগ্রাম (8% RDA)
পটাসিয়াম122 মিলিগ্রাম (3% RDA)
ম্যাগনেসিয়াম22 মিলিগ্রাম (5% RDA)
আয়রন0.2 মিলিগ্রাম (1% RDA)
ক্যালসিয়াম11 মিলিগ্রাম (1% RDA)
*RDA হলো প্রতিদিনের চাহিদার পরিমান

হলুদের পুষ্টি উপাদান পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। এটি হলুদ পাউডারের গুণমান এবং হলুদ গাছের প্রজাতির উপর নির্ভর করে।

হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলির জন্য দায়ী হল হলুদের কারকিউমিন উপাদান। কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ, ক্যান্সার, এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

হলুদের উপকারিতা:

হলুদের উপকারিতা

প্রদাহ কমায়: 

হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: 

হলুদ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার এবং অন্যান্য ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দেখা গেছে।

আরোও পড়ুন

রসুনের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। রসুন কেন খাবেন?

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

 হলুদে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

স্মৃতি এবং বুদ্ধিমত্তা উন্নত করতে সাহায্য করে: 

হলুদের কারকিউমিন মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি স্মৃতি এবং বুদ্ধিমত্তা উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে: 

হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বকের বয়স বৃদ্ধি এবং ত্বকের সমস্যাগুলির ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা: হলুদ অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ব্যথা কমানো
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) প্রতিরোধ করা
  • বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করা
  • রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করা
  • মস্তিস্কের কার্যকারিতা উন্নত করা
  • স্থূলতার ঝুঁকি কমানো
  • টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো

হলুদের অপকারিতা:

হলুদের অপকারিতা
  • গ্যাস: হলুদে ফাইবার রয়েছে, যা গ্যাসের একটি সাধারণ কারণ।
  • বমি বমি ভাব: হলুদে অ্যালিসিন রয়েছে, যা কিছু লোকের মধ্যে বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে।
  • বমি: হলুদে অ্যালিসিন রয়েছে, যা কিছু লোকের মধ্যে বমি হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • রক্তপাত: হলুদ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যারা রক্তপাতের ওষুধ গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে।
  • ত্বকের জ্বালাপোড়া: হলুদে কুর্কিউমিন রয়েছে, যা ত্বকের সংবেদনশীলতার কারণ হতে পারে।
  • অ্যালার্জি: হলুদের প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যপান: হলুদ গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যপানকালীন নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

যদি আপনি হলুদ গ্রহণের সময় এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

হলুদের অপকারিতাগুলি সাধারণত মাঝারি এবং ক্ষণস্থায়ী। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, হলুদ আরও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:

  • লিভারের ক্ষতি: হলুদ লিভারের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে।
  • কিডনিতে পাথর: হলুদে অক্সালেট রয়েছে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।

হলুদ গ্রহণের আগে, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, যদি আপনার:

  • লিভারের রোগ থাকে
  • কিডনিতে পাথর থাকে
  • রক্তপাতের সমস্যা থাকে
  • যেকোনো ওষুধ গ্রহণ করেন

হলুদ খাওয়ার সময়, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ গ্রাম হলুদ খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

সম্পর্কিত:

থানকুনি পাতার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

February 25, 2024

পোস্ত দানা কি? জেনেনিন পোস্তর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও রান্না প্রণালী।

May 8, 2024

বাতাবি লেবুর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। বাতাবি লেবুর চাষ পদ্ধতি।

September 21, 2023

খেসারি ডালের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, অপকারিতা ও রান্না প্রণালী।

September 18, 2023

লবঙ্গ কি? লবঙ্গের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

December 4, 2023

বেদানার উপকারিতা ও অপকারিতা । শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে অতুলনীয় বেদানা।

August 2, 2023

লটকন ফল কেন এত জনপ্রিয়? জঙ্গলের এই ফলের রহস্য কী?

July 25, 2024

কৈ মাছ: স্বাদে মিষ্টি, গুণে অমৃত।

November 17, 2024

ডেবো ফল এর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

June 13, 2024

শিমের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

September 3, 2023
error: Content is protected !!