শসা
শসা একটি পুষ্টিকর সবজি যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং জলের একটি ভালো উৎস। শসায় ভিটামিন এ, সি, কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিংক রয়েছে।শসা গোর্ড পরিবার কিউকারবিটাসের অন্তর্গত একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ। শসা এক প্রকারের ফল। লতানো উদ্ভিদে জন্মানো ফলটি লম্বাটে আকৃতির এবং প্রায় ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। শসার বাইরের রঙ সবুজ। তবে পাকলে হলুদ হয়। ভেতরে সাদাটে সবুজ রঙের হয়, এবং মধ্যভাগে বিচি থাকে।
শসার পুষ্টিগুণ:
১০০ গ্রাম শসার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ নিম্নরূপ:
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
ক্যালোরি | ১৬ কিলোক্যালরি |
কার্বোহাইড্রেট | ৩.১ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৬ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.২ গ্রাম |
খাদ্যআঁশ | ১.৯ গ্রাম |
ভিটামিন সি | ১১.৫ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন কে | ১৬.৪ মাইক্রোগ্রাম |
পটাসিয়াম | ১৪৭ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১৬ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ১৩ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ২৪ মিলিগ্রাম |
জিংক | ০.২ মিলিগ্রাম |
শসা একটি পুষ্টিকর সবজি যা ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং জলের একটি ভালো উৎস। শসায় ভিটামিন এ, সি, কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিংক রয়েছে।
শসার উপকারিতা:
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি:
শসা ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
শসা ভিটামিন সি এর ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেশন বজায় রাখা:
শসা ৯৫% জল দিয়ে তৈরি, তাই এটি হাইড্রেশন বজায় রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
শসা ভিটামিন সি এবং কে এর ভালো উৎস, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে, যা ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
শসা একটি পুষ্টিকর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। শসা খেলে আপনি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
শসার অপকারিতা:
শসা একটি পুষ্টিকর সবজি যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। তবে, এর কিছু সম্ভাব্য অপকারিতাও রয়েছে।
শসার কিছু অপকারিতা নিম্নরূপ:
- শসাতে পটাসিয়াম বেশি থাকে, যা কিডনি সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সমস্যাযুক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত পটাসিয়াম কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে বা কিডনি ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- শসায় কিউকারবিটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত শসা খেলে এটি ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে।
- শসায় সাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা সংবেদনশীল ত্বকের লোকেদের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। শসা খেলে বা ত্বকের সংস্পর্শে এলে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সাধারণত, শসা একটি নিরাপদ খাবার। তবে, উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলির মধ্যে কারও যদি কোনটি থাকে, তাহলে তাদের শসা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
শসা খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
- শসা খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- শসা খেলে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা খাওয়া বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।