Skip to content
Home » MT Articles » লটকন ফল কেন এত জনপ্রিয়? জঙ্গলের এই ফলের রহস্য কী?

লটকন ফল কেন এত জনপ্রিয়? জঙ্গলের এই ফলের রহস্য কী?

লটকন ফল

লটকন ফল

লটকন ফল বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। লটকন ফলের ইংরেজি নাম Burmese Grape। এটি বাকুরিয়া মোটলেয়ানা নামে পরিচিত একটি গাছের ফল। লটকন ফল গোলাকার এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রঙের হয়। ফলের খোসা নরম ও পুরু। প্রতি ফলে তিনটি বীজ থাকে।লটকন ফলের স্বাদ মিষ্টি-আম্লান। এটি সাধারণত কাঁচা অথবা পাকা অবস্থায় খাওয়া হয়। লটকন ফল বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, যেমন আচার, জেলি, শরবত, ইত্যাদি।

লটকন ফলের পুষ্টিগুণ:

লটকন ফলের পুষ্টিগুণ
লটকন ফল
লটকন ফলের পুষ্টিউপাদান টেবিল (প্রতি ১০০ গ্রাম)
পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি43 ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট10.6 গ্রাম
চর্বি0.1 গ্রাম
প্রোটিন0.6 গ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার1.9 গ্রাম
ভিটামিন সি60 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 100%)
পটাশিয়াম238 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 6%)
ক্যালসিয়াম18 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
ম্যাগনেসিয়াম10 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 3%)
ফসফরাস23 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
আয়রন0.4 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
জিঙ্ক0.3 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
ভিটামিন এ320 আইইউ (দৈনিক চাহিদার 6%)
থায়ামিন (B1)0.03 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
রিবোফ্লাভিন (B2)0.04 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
নিয়াসিন (B3)0.5 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 3%)
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (B5)0.06 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 1%)
ভিটামিন B60.04 মিলিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 2%)
ফোলেট (B9)13 মিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 4%)
ভিটামিন কে10 মিগ্রাম (দৈনিক চাহিদার 13%)

লটকন ফলের উপকারিতা:

পুষ্টিগুণে ভরপুর:

  • ভিটামিন সি : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
  • ভিটামিন এ : চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, ত্বকের কোষের পুনর্জন্মে সহায়তা করে
  • পটাশিয়াম : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • ফাইবার : হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • ক্যালসিয়াম : হাড় ও দাঁত মজবুত করে
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : শরীরের ক্ষতিকর মুক্ত র‌্যাডিকেল দূর করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

আরোও পড়ুন

কাঠলিচু কি? জেনেনিন কাঠলিচুর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • হজমশক্তি উন্নত: লটকনের ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • ত্বক ও চুলের যত্ন: লটকনের ভিটামিন এ ও সি ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: লটকনের পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: লটকনে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: লটকনের ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ: লটকনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর মুক্ত র‌্যাডিকেল দূর করে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • মানসিক চাপ কমায়: লটকনে থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্ত পরিশোধন: লটকন রক্ত পরিশোধন করে এবং রক্ত ​​শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মাথাব্যথা কমায়: লটকন মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • জ্বর কমায়: লটকন জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
লটকন ফলের উপকারিতা

লটকন ফল এর অপকারিতা:

লটকন ফল সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতাও দেখা দিতে পারে:

১) কিডনি ও মূত্রাশয়ের সমস্যা:

  • যাদের কিডনি বা মূত্রাশয়ের সমস্যা আছে তাদের লটকন খাওয়া উচিত নয়।
  • কারণ লটকনে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে যা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

২) অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন:

  • অতিরিক্ত পরিমাণে লটকন খাওয়া পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এমনকি পেট ফোলার কারণ হতে পারে।

৩) গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য:

  • গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের লটকন খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • কারণ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে লটকন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং স্তন্যদুগ্ধে অক্সালেটের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

৪) ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া:

  • যারা কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ সেবন করছেন তাদের লটকন খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • কারণ লটকন কিছু ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং এর কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
লটকন ফল এর অপকারিতা

৫) অ্যালার্জি:

  • কিছু লোকের লটকনের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।
  • লটকন খাওয়ার পর যদি কোন অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন ফোলাভাব, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

This article is written with the help of Gemini

error: Content is protected !!