যব
যব হলো এক ধরনের শস্য যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি গমের মতোই একধরনের শস্য দানা, কিন্তু এর গঠন ও ব্যবহার গমের থেকে কিছুটা আলাদা। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে শীতকালে সীমিত পরিমাণে এর চাষাবাদ হয়।
যব এর পুষ্টিগুণ:
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ (প্রতি 100 গ্রাম) |
---|---|
ক্যালোরি | 375 |
প্রোটিন | 14.3 গ্রাম |
ফ্যাট | 1.8 গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | 70.1 গ্রাম |
ফাইবার | 10.7 গ্রাম |
ভিটামিন B1 (থিয়ামিন) | 0.38 মিলিগ্রাম |
ভিটামিন B2 (রিবোফ্ল্যাভিন) | 0.15 মিলিগ্রাম |
ভিটামিন B6 (পিরিডক্সিন) | 0.28 মিলিগ্রাম |
ফোলেট | 22 মাইক্রোগ্রাম |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড | 1.1 মিলিগ্রাম |
পটাসিয়াম | 367 মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | 277 মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | 154 মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | 31 মিলিগ্রাম |
আয়রন | 4.4 মিলিগ্রাম |
জিঙ্ক | 3.1 মিলিগ্রাম |
সেলেনিয়াম | 59 মাইক্রোগ্রাম |
কপার | 0.47 মিলিগ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ | 1.97 মিলিগ্রাম |

যবের ছাতুর উপকারিতা:
যবের ছাতুর পুষ্টিগুণ:
- ফাইবারের ভান্ডার: যবের ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়, পেট ভরে রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- প্রোটিন: এতে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: যবের ছাতুতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যেমন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং খনিজ পদার্থ, যেমন আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকে। এগুলো শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
আরোও পড়ুন
সুপারি কি? জেনেনিন সুপারির উপকারিতা ও অপকারিতা।
যবের ছাতুর স্বাস্থ্য উপকারিতা:

- হজমশক্তি বাড়ায়: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে যবের ছাতু হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে দেয় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: যবের ছাতুতে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে যবের ছাতু পেট ভরে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়। এটি ওজন কমানোর একটি কার্যকর উপায়।
- শক্তি বাড়ায়: যবের ছাতুতে শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে।
- চামড়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: যবের ছাতুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চামড়াকে মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে।
যবের ছাতু কীভাবে খাবেন?
যবের ছাতু বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। যেমন:
- ছাতুর শরবত: ছাতুকে পানিতে মিশিয়ে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়।
- ছাতুর লড্ডু: ছাতু, গুড়, এবং মুখি মিশিয়ে লড্ডু তৈরি করা যায়।
- ছাতু মিশ্রিত দুধ: দুধের সাথে ছাতু মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- ছাতু মিশ্রিত রুটি: রুটির ময়দার সাথে ছাতু মিশিয়ে রুটি তৈরি করা যায়।
This article is written with the help of Gemini