ঝিঙে
ঝিঙে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রান্নাঘরে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Luffa aegyptiaca। ঝিঙের গঠন লম্বা এবং সিলিন্ডার আকৃতির। এর ত্বক খসখসে এবং ভিতরে স্পঞ্জের মতো।
ঝিঙের পুষ্টিগুণ:
100 গ্রাম ঝিঙেতে থাকে:
- ক্যালোরি: প্রায় 15 ক্যালোরি
- জল: 92%
- কার্বোহাইড্রেট: 3.4 গ্রাম
- ফাইবার: 1.4 গ্রাম
- প্রোটিন: 1 গ্রাম
- চর্বি: নগণ্য
- ভিটামিন: ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট
- খনিজ: পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ঝিঙে খাওয়ার উপকারিতা:

হজম শক্তি বাড়ায়:
- ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাকস্থলীকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
ওজন কমানোতে সাহায্য করে:
- কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারের কারণে ঝিঙে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরে রাখে।
- এটি অতিরিক্ত খাওয়া কমায় এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
আরোও পড়ুন
চিচিঙ্গা কি? চিঙ্গার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
- ঝিঙেতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- এটি রক্তনালীকে স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
- ঝিঙেতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এটি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
- ঝিঙেতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী:
- ঝিঙেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
- এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের মূলকে শক্তি যোগায়।
ঝিঙে খাওয়ার অপকারিতা:

সাধারণত এটি খাওয়ার কোনো উল্লেখযোগ্য অপকারিতা নেই। এটি একটি পুষ্টিকর সবজি যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে আনে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সামান্য সমস্যা হতে পারে:
- অ্যালার্জি: খুব কম ক্ষেত্রে, কোনো ব্যক্তি ঝিঙের প্রতি অ্যালার্জিক হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার ফলে চামড়ায় ফুসকুড়ি, খিচুনি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- পেট খারাপ: অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে কিছু ব্যক্তির পেট ফাঁপা, গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে।
ঝিঙে খাওয়ার বিভিন্ন উপায়:
- ঝিঙে ভাজা
- ঝিঙে চচ্চড়ি
- ঝিঙে পোস্ত
- ঝিঙের স্যুপ
- এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি
This article is written with the help of Gemini