Skip to content
Home » MT Articles » ওটস কি? ওটসের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

ওটস কি? ওটসের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

ওটসের পুষ্টিগুণ

ওটস

ওটস একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাদ্য, যা বিশ্বব্যাপী খাওয়া হয়। এটি একটি ধান্যজাত খাবার যা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেলসে সমৃদ্ধ।

ওটসের পুষ্টিগুণ:

ওটসে প্রধানত পাওয়া পুষ্টিগুণ:
  • ফাইবার: ওটসে দ্রাব্য ও অদ্রাব্য উভয় ধরনের ফাইবারই প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ফাইবার হজমে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
  • প্রোটিন: একটি ধান্য হিসাবে, ওটসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • কার্বোহাইড্রেট: ওটসে কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (GI) সম্পন্ন কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা রক্তের শর্করা ধীরে ধীরে বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে।
  • ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: ওটসে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়, যেমন ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্ক, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ওটসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে মুক্ত র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

ওটস খাওয়ার উপকারিতা:

ওটস খাওয়ার উপকারিতা
ওটস
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: ওটসে থাকা দ্রাব্য ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে এবং ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সহায়তা করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ওটস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে:
  • ধীর গতিতে শর্করা শোষণ: ওটসে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
ওজন কমানোতে সাহায্য করে:
  • পেট ভরা রাখে: ওটসে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়:
  • ফাইবারের ভূমিকা: ওটসে থাকা ফাইবার অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে:
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ওটসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
শক্তি বাড়ায়:
  • ধীরগতির শক্তি: ওটসে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে দীর্ঘক্ষণ শক্তি প্রদান করে।
অন্যান্য উপকারিতা:
  • ক্যানসার প্রতিরোধ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ওটস কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য: ওটসে থাকা মিনারেলগুলি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আরোও পড়ুন

বার্লি কি? জেনেনিন বার্লির পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ওটস খাওয়ার অপকারিতা:

ওটস খাওয়ার অপকারিতা

১. হজমের সমস্যা:

  • ফাইবারের অতিরিক্ত পরিমাণ: ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • গ্লুটেন সংবেদনশীলতা: যদিও ওটস প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত, তবে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় অন্যান্য গ্লুটেনযুক্ত শস্যের সাথে মিশে যেতে পারে। যাদের গ্লুটেন সংবেদনশীলতা আছে তাদের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

২. রক্তে শর্করার বৃদ্ধি:

  • কার্বোহাইড্রেটের উপস্থিতি: ওটসে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিবেচনা করা জরুরি।

৩. উচ্চ ফসফরাস সামগ্রী:

  • কিডনি সমস্যা: কিডনির সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের জন্য ওটসে থাকা উচ্চ ফসফরাসের পরিমাণ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৪. অ্যালার্জি:

  • ত্বকের প্রতিক্রিয়া: কমবেশি সকল খাবারের মতো ওটসেও অ্যালার্জি হতে পারে। এটি হালকা ত্বকের জ্বালা থেকে শুরু করে গুরুতর অ্যালার্জি পর্যন্ত হতে পারে।

৫. প্রক্রিয়াজাত ওটসের অপকারিতা:

  • অতিরিক্ত চিনি ও সংযোজক: ইনস্ট্যান্ট ওটস এবং স্বাদযুক্ত ওটমিলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, কৃত্রিম স্বাদ এবং সংযোজক থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

কীভাবে ওটস খাবেন:

ওটসকে বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনি দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে ওটমিল তৈরি করতে পারেন, বা সিরিয়াল হিসেবে খেতে পারেন। এছাড়াও, ওটসকে স্মুথি, বেকড পণ্য বা অন্যান্য খাবারে যোগ করে খাওয়া যায়।

সর্বোত্তম ফল পাওয়ার জন্য:

  • পুরো দানার ওটস: সবসময় পুরো দানার ওটস ব্যবহার করুন।
  • মিষ্টি কমিয়ে: অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
  • বিভিন্ন উপাদান যোগ করুন: ফল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি যোগ করে ওটসকে আরও স্বাদিষ্ট এবং পুষ্টিকর করুন।

This article is written with the help of Gemini

সম্পর্কিত:

আনারসের পুষ্টিগুণ। আনারস (Pineapple) কেন খাবেন ?

July 13, 2023

লিভারের কাজ ও গুরুত্ব কি? লিভার ভাল রাখতে করনীয় কি?

June 30, 2024

চিনাবাদাম কি? চিনাবাদামের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

December 11, 2023

পিয়াজের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা। পিয়াজ কেন খাবেন?

August 30, 2023

নারিকেল: নারিকেলের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই কি উপকারী?

February 22, 2025

চান্দা মাছ: চান্দা মাছের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য।

November 24, 2024

ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও প্রকারভেদ।

January 25, 2025

এ্যালোভেরা এর যাদুকরী গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।

March 23, 2024

খেজুরের রস কি? খেজুরের রসের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

January 21, 2024

সয়াবিন সবজি: সয়াবিন সবজির পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা।

March 22, 2025
error: Content is protected !!