Skip to content
Home » MT Articles » আক্কেল দাঁত কী ? উঠার সময় ব্যথা হয় কেন? এই ব্যথার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।

আক্কেল দাঁত কী ? উঠার সময় ব্যথা হয় কেন? এই ব্যথার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।

আক্কেল দাঁত কী

আক্কেল দাঁত কী :

মানব দেহের শেষ দাঁতগুলিকে আক্কেল দাঁত বলা হয়।এগুলি সাধারণত ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সে উঠে। এগুলি মুখের পিছনের অংশের দাঁত যা তৃতীয় মোলার হিসাবে পরিচিত। আক্কেল দাঁতগুলি প্রায়শই অস্বাভাবিকভাবে উঠে যার ফলে ব্যথা, সংক্রমণ এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।

আক্কেল দাঁতগুলির কোনও নির্দিষ্ট কাজ নেই। এগুলি প্রাচীন মানুষের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।সেই সময়ের মানুষেরা যে ধরনের খাবার গ্রহণ করত (কাঁচা ও শক্ত খাবার) সেই খাবারগুলোকে কাটা এবং চূর্ণ করার জন্য আরও বেশি দাঁতের প্রয়োজন ছিল।তবে আধুনিক মানুষের আক্কেল দাঁতগুলির তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।তাই এগুলিকে অপসারণ করা যেতে পারে যদি এরা কোনও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আক্কেল দাঁত উঠার সময় ব্যথা হয় কেন?

আক্কেল দাঁত উঠার সময় ব্যথা হয় কেন?

আমাদের মুখের আক্কেল দাঁতগুলো সাধারণত ১৮ বছরের পরে ওঠে। তখন আমাদের মাড়ির টিস্যু একটু পুরু ও শক্ত হয়ে যায়। দাঁতটিকে মাড়ি চিরে উঠতে হয়। ফলে ওঠার সময় চাপ হয় এবং মাড়িকে একটু কেটে কেটে সে বের হয়। এজন্য দাঁত ওঠার সময় খুব ব্যথা অনুভূত হয়।মেডিকেলের ভাষায় আক্কেল দাঁতকে উইজডম টিথ বা থার্ড মোলার টিথ বলা হয়ে থাকে। আমাদের মুখে আক্কেল দাঁতের প্রয়োজনীয়তা কম। তাই প্রায়শই বিভিন্ন কারনে এ দাঁতগুলো ফেলে দিতে হয়। এ দাঁতগুলো যদি আপনি সার্জারি করে ফেলে দেন, তাহলে আর অস্বস্তি থাকবে না।

আমাদের একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে, দাঁত ফেললে চোখ অন্ধ হবে বা সমস্যা হবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

আরোও পড়ুন

দাঁত তুললে কি সত্যিই চোখের সমস্যা হয়?

অনেক সময় পূর্ণ বয়সে আক্কেলদাঁত উঠতে গিয়ে পর্যাপ্ত স্থান না পেয়ে চোয়ালের ভেতরে বা নিচের দিকে গজাতে পারে। এটা স্বাভাবিকভাবে বেরোতে না পারলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ব্যথা, প্রদাহ, অন্য দাঁতের ক্ষতি ইত্যাদি। আক্কেলদাঁত অনেক সময় পাশের দাঁতে ধাক্কা বা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এ সময় মাড়ির প্রদাহের কারণে ব্যথা হতে পারে। যখন আক্কেলদাঁত সম্পূর্ণ উঠতে পারে না, তখন দাঁতের মুকুট অংশটি উপরিভাগের মাংস বা মাড়ির নিচে থাকে। তখন মাঝখানে খাবারের কণাগুলো জমে থাকে এবং সেখানে ধীরে ধীরে অসংখ্য রোগজীবাণু জন্ম হয়। এতে মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে মাড়ি ফুলে যায়, তীব্র ব্যথা হয় এবং ওপরের দাঁতের সঙ্গে মাড়ির ক্রমাগত ঘর্ষণ বা কামড়ে ঘাঁ, ক্ষত তৈরি হয়।চোয়ালের ভেতরে অবস্থানকারী একটি আক্কেলদাঁত অন্য সব কটি দাঁত পড়ে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসতে পারে। ফলে নিচের পাটির দাঁতের নিচে ব্যথা বা প্রদাহের আশঙ্কা থাকে।

মাড়ির দ্বিতীয় দাঁতটি ক্রমাগত ধাক্কা খেতে খেতে একদিকে হেলে পড়তে পারে। তা ছাড়া দুই দাঁতের সংযোগস্থলে খাদ্যকণা জমা থাকায় প্রদাহ হতে পারে। এতে চোয়ালের সামনের দিকের দাঁতগুলো বিচ্ছিন্ন বা আঁকাবাঁকা হয়ে যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে, সেগুলি হচ্ছে—

(১) মাড়ির প্রদাহ বা সংক্রমণ, (২) হাড়ের প্রদাহ, (৩) দাঁতের ক্ষয় এবং (৪) স্নায়ুর ওপর চাপ।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:

আক্কেল দাঁত

মুখের ভেতরটা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে আক্কেলদাঁত ও নরম মাংস খণ্ডটির মাঝখানে কোনো খাদ্যকণা না জমে থাকে। প্রতিবার খাওয়ার পর নিয়মিত অল্প গরম লবণ পানিতে কুলকুচি করলে প্রদাহ হওয়ার ঝুঁকি কমে। তবে স্বাভাবিকভাবে দাঁত বের হয়ে না আসা পর্যন্ত স্থায়ীভাবে নিরাময় সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে যদি এক্স-রের মাধ্যমে লক্ষ করা যায় যে আক্কেল দাঁতটির অবস্থান খুবই অস্বাভাবিক বা কখনোই স্বাভাবিকভাবে বের হওয়ার আশঙ্কা নেই অথবা পাশের দাঁতটি ডেন্টাল ক্যারিজে আক্রান্ত, তখন সেটা তুলে ফেলাই ভালো।

error: Content is protected !!