টমেটো
টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C, K, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ফাইবার ইত্যাদি রয়েছে।
টমেটোর পুষ্টিগুণ:
১০০ গ্রাম টমেটেোতে রয়েছে:
- শক্তি-১৮ কিলোক্যালরি
- কার্বোহাইড্রেট-৪.2 গ্রাম
- প্রোটিন-০.9 গ্রাম
- ফ্যাট-০.2 গ্রাম
- আঁশ-1.5 গ্রাম
- ভিটামিন A-1200 আইইউ
- ভিটামিন C-15 মিলিগ্রাম
- ভিটামিন K-19 মাইক্রোগ্রাম
- পটাসিয়াম-295 মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম-11 মিলিগ্রাম
- ফসফরাস-31 মিলিগ্রাম
- আয়রন-0.4 মিলিগ্রাম
টমেটোর উপকারিতা:
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন রয়েছে, যা ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন A চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে:
টমেটোতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C রয়েছে, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে:
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
টমেটোর অপকারিতা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
টমেটো একটি পুষ্টিকর সবজি যা সাধারণত খাওয়ার জন্য নিরাপদ। তবে, কিছু ক্ষেত্রে টমেটেোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। টমেটেোর কিছু অপকারিতা নিম্নরূপ:
- গ্যাস ও ফোলাভাব: টমেটেোতে ফাইবার বেশি থাকায় এটি খেলে গ্যাস ও ফোলাভাব হতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হতে পারে।
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: টমেটেোর প্রতি কারো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া থাকলে তা খেলে অ্যালার্জির লক্ষণ যেমন ফুসকুড়ি, চুলকানি, রাইনাইটিস, চোখের জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি: টমেটেোতে পিউরিন বেশি থাকায় এটি খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে টমেটো খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া: অতিরিক্ত টমেটো খেলে ত্বকের রঙ হলুদ হয়ে যেতে পারে। এটি বিটা ক্যারোটিনের কারণে হয়। তবে, এটি ক্ষতিকর নয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়।
টমেটোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে হলে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।